৯ বাংলাদেশিকে ‘পিস ইজ পসিবল’ পুরস্কার দিল জেসিআই

আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল নয় বাংলাদেশিকে পিস ইজ পসিবল (শান্তি সম্ভব) পুরস্কার দিয়েছে জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই)।
গতকাল শনিবার রাতে রাজধানীর গুলশান ১ নম্বর সেকশনে অবস্থিত স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
জেসিআইর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ইচ্ছুক তরুণদের একটি বৈশ্বিক অলাভজনক সংস্থা জেসিআই। তরুণদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে সংস্থাটি ‘পিস ইজ পসিবল’ প্রচারাভিযান চালায়।
২১ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস পালন করা হয়। সেই দিনটিতে বহু সংগঠনের মতো শান্তির বার্তা বিশ্বব্যাপী পৌঁছাতে কাজ করে জেসিআইও।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশি সমাজে ইতিবাচক প্রভাব তৈরির লক্ষ্যে কাজ করায় নয় ব্যক্তিকে বিভিন্ন শ্রেণিতে ‘পিস ইজ পসিবল’ পুরস্কার দেয় জেসিআই বাংলাদেশ। এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অংশ নেন কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নেতা, উদ্যোক্তা, জেসিআই বাংলাদেশ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
জেসিআই বাংলাদেশের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণমাধ্যম সহযোগী ছিল দৈনিক সমকাল, বাংলাভিশন, কালারস এফএম-১০১.৬, হ্যালো ইভেন্টস ও এনটিভি বিডি ডটকম।
অনুষ্ঠানে প্রধান ও বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট সেলিমা আহমেদ ও নর্দান ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।
নয় বাংলাদেশির হাতে পুরস্কার তুলে দেন জেসিআই বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আহমেদ আশফাকুর রহমান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সংস্থাটির জাতীয় পরিষদের সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য দেন ‘পিস ইজ পসিবল ক্যাম্পেইন’ বাংলাদেশের পরিচালক ও জেসিআই বাংলাদেশের জাতীয় কোষাধ্যক্ষ সুমন হাওলাদার। উদ্বোধনী বক্তৃতা করেন জেসিআই বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আহমেদ আশফাকুর রহমান। তাঁকে সহায়তা করেন অনুষ্ঠান কমিটির সভাপতি ইরফান হক ও মিডিয়া কমিটির সভাপতি ইসমাত জাহান।
যে নয় ব্যক্তিকে পুরস্কৃত করা হয়, তাঁরা হলেন—এ এইচ এম নোমান, অহনা রহমান, আজরা মাহমুদ, বন্যা মির্জা, ইফতেখায়রুল ইসলাম, লিপি খন্দকার, মনসুরা রহমতুল্লাহ, মাসুম রেজা ও নিশাত মজুমদার।