প্রথম বুলেট ট্রেন নির্মাণে ভারতকে ঋণ দেবে জাপান

প্রথম বুলেট ট্রেন নির্মাণে ভারতকে সহজ শর্তে ১৫ হাজার কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব করেছে জাপান। এই ঋণের সুদের হার ১ শতাংশের কম। মূলত আঞ্চলিক অবকাঠামো খাতে চীনের আধিপত্যকে টেক্কা দিতে চায় বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি জাপান।
ভারত রেলওয়ে বোর্ডের বরাত দিয়ে ইকোনমিকস টাইমসের এক প্রতিবেদনে আজ বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজের রাজ্য গুজটারের বাণিজ্য রাজধানী আহমেদাবাদ থেকে মুম্বাই পর্যন্ত ৫০৫ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে জাপান। এ পথে বুলেট ট্রেনের পথ নির্মাণে প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সক্ষমতা সম্পর্কেও ধারণা নিয়েছে জাপান।
বুলেট ট্রেনের প্রকল্পের নির্মাণ ও নির্মাণসামগ্রি সরবরাহ পেতে দরপত্র আহ্বান করবে ভারত। তবে এ ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকতে অনেকটা স্বেচ্ছায় ঋণপ্রস্তাব করেছে জাপান।
দিল্লি থেকে মুম্বাই পর্যন্ত দ্রুতগতির ট্রেন প্রকল্পের জন্য গত মাসে চীন চুক্তির অনুমোদন পেয়েছে। এই পথ হবে এক হাজার দুই কিলোমিটার। তবে খরচ পড়বে দ্বিগুণ। আর কোনো ধরনের ঋণও প্রস্তাব করেনি বেইজিং।
কয়েক বছর ধরে দক্ষিণ এশিয়ার অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে চীনের আধিপত্য টেক্কা দিতে মোদির নিজের এলাকার প্রকল্পের জন্য বলতে গেলে শর্ত ছাড়াই ভারতকে এই ঋণপ্রস্তাব করেছে জাপান।
এ প্রসঙ্গে ভারত রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান একে মিত্তাল বলেন, দ্রুতগতির রেল নির্মাণ প্রযুক্তির জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে নানা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে প্রযুক্তি ও তহবিল উভয়ই দেওয়ার প্রস্তাব করেছে একমাত্র জাপান।
দিল্লি, মুম্বাই ও কলকাতাকে দ্রুতগতির রেলপথের সঙ্গে সংযোগ করতে দুই প্রকল্পের মাধ্যমে ১০ হাজার কিলোমিটার পথ স্থাপন করা হবে। মুম্বাই-আহমেদাবাদ সংযোগ স্থাপনের জন্য মোট ব্যয়ের ৮০ শতাংশ খরচ জোগাবে জাপান। এ ক্ষেত্রে দেশটি থেকে ৩০ শতাংশ প্রযুক্তি, ট্রেন ও ইঞ্জিন ইত্যাদি কিনবে ভারত।
জাপানের আন্তর্জাতিক কো-অপারেশন এজেন্সি এই প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে নেতৃত্ব দেবে। এই প্রকল্প সম্পন্ন হলে মুম্বাই থেকে আহমেদাবাদ যেতে দুই ঘণ্টা বাচবে। এখন অন্য ট্রেনে যেতে সাত ঘণ্টা সময় লাগে। এই পথের জন্য সাগরের তলদেশ দিয়ে ১১টি নতুন টানেল নির্মাণ করা হবে।