অপ্রত্যাশিতভাবে চীনের রপ্তানি বেড়েছে

চীনের রপ্তানি গত ডিসেম্বরে অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়েছে। দেশটির রপ্তানির পরিমাণ এ মাসে ৭ দশমিক ১ শতাংশ কমে যাবে বলে পূর্বাভাস করা হয়েছিল। তবে এ মাসে এর পরিমাণ বেড়েছে ২ দশমিক ৩ শতাংশ। আর আমদানির পতনও কিছুটা সংযত হয়েছে। মূলত দেশটির মুদ্রা দুর্বল হওয়ায় বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি ঘটছে।
স্থানীয় সময় বুধবার ব্লুমবার্গ বিজনেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউয়ান দুর্বল হওয়ায় গত ডিসেম্বরে চীনের রপ্তানির চালান বেড়েছে ২ দশমিক ৩ শতাংশ বলে দেশটির কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছি। তবে গত নভেম্বর রপ্তানি ৩ দশমিক ৭ শতাংশ কমে।
বুধবার চীনের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানায়, টানা ১৪ মাস দেশটির আমদানি কমছে। গত ডিসেম্বরে আমদানি কমে ৪ শতাংশ। তবে এর আগের মাস নভেম্বরে এর হার ছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। এতে পাঁচ হাজার ৮০০ কোটি ডলার বাণিজ্য ঘাটতি থেকেছে।
চীনের রপ্তানি বাড়ায় ও ইউয়ান আরো দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনায় বুধবার দেশটির শেয়ারবাজারে আজ লেনদেনের শুরু থেকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। আর অস্ট্রেলিয়ান ডলারের দামও বেড়েছে।
ডলারের বিপরীতে ইউয়ান দুর্বল হওয়ায় ও দেশটির শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হওয়ায় চলতি বছরের শুরুতে বিশ্ববাজারে দারুণ প্রভাব পড়েছে। এতে বিনিয়োগকারীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
মূলত চীনের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে পড়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছে দেশটির সরকার। এতে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইউয়ানের দুর্বল নীতি গ্রহণ করে। তবে রপ্তানিপ্রবাহ বাড়ায় দেশটির অর্থনীতিতে সুবাতাস বইবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
নিউইয়র্কভিত্তিক আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান রৌবিনি গ্লোবাল ইকোনমিকসের অর্থনীতিবিদ দায়লি ওয়াং বলেন, যদিও আগে মনে করা হয়েছিল দেশটির রপ্তানি কমবে, তবে ইউয়ান দুর্বল হওয়ায় রপ্তানি বেড়েছে দেশটির।
তেলের দরপতন অব্যাহত থাকায় ২০১৫ সালে চীন রেকর্ড মাত্রায় পণ্যটি আমদানি করেছে। আগের বছরের চেয়ে তেলের আমদানি বেড়েছে ৮ দশমিক ৮ শতাংশ। এটি দেশটির উৎপাদন খরচ কমাতে সাহায্য করেছে।