মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের ব্যয় বাড়ল

চার হাজার ৮৩০ কোটি ৯২ লাখ টাকার ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এর মধ্যে নতুন সাতটি প্রকল্প রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে একনেকের বৈঠকে এসব প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
রাজধানীর মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পের সংশোধনী প্রস্তাবসহ ১০টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে চার হাজার ৮৩০ কোটি ৯২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে তিন হাজার ৬০৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা। সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৪৫১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ও বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৭৭৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
মগবাজার–মৌচাক ফ্লাইওভার প্রকল্পের ব্যয় আগে ছিল ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এখন ধরা হয়েছে, এক হাজার ২১৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা। অর্থাৎ ব্যয় বেড়েছে ৪৪৬ কোটি ২০ লাখ টাকা।
এই প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকারের তহবিল থেকে ৪৪২ কোটি ৭৩ লাখ এবং সৌদির উন্নয়ন তহবিল ও ওপেকের সহায়তা তহবিল থেকে ৭৭৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা অর্থায়ন করা হবে।
মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের মূল প্রকল্পের বাস্তবায়নের মেয়াদ ছিল ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু পরে এর মেয়াদ ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকৌশল অধিদপ্তর এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
পরিকল্পমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেন, ‘এখন যে কারণে এই প্রকল্প সংশোধনের প্রয়োজন, তা হচ্ছে প্রকল্পটির আয়োতন বেড়েছে। আগে রেললাইনের পাড়ে রাস্তা শেষ হওয়ার কথা ছিল। এখন সেখান থেকে শেষ না করে দুই শাখায় হাতিরঝিল ও সোনারগাঁও হোটেল পর্যন্ত শেষ করা হবে। ২০১৭ সালের জুন মাস নাগাদ এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।’
অন্য প্রকল্পগুলো মধ্যে রয়েছে, রংপুর অঞ্চলের বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প। এটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত। এর ব্যয় এক হাজার ৩৩৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
বাংলাদেশের নদীবক্ষের বালুতে মূল্যবান খনিজের উপস্থিতি নির্ণয় ও অর্থনৈতিক মূল্যায়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ব্যয় হবে ৩৫ কোটি ৬৩ লাখ। এর বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০১৫ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত।
‘এলইডি লাইট (সিকেডি) অ্যাসেম্বিলিং প্ল্যান্ট ইন ইটিএল প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। এর ব্যয় ৩৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের পর্যন্ত। এটি শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাস্তবায়ন করা হবে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের জন্য সুউচ্চ আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্পের প্রথম সংশোধনী অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ১৭৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয় হবে। এটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
৬৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘নীলফামারী-জলঢাকা সড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর।