ভারতের ভিসাপ্রাপ্তির জটিলতা নিরসনের আহ্বান শিল্পমন্ত্রীর

বাংলাদেশিদের জন্য ভিসাপ্রাপ্তির প্রক্রিয়া সহজ করতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা নিরসনে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচিত, বাংলাদেশ হাইকমিশনে একটি ভিসা প্রসেসিং কেন্দ্র খোলা। এতে উভয় দেশের ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে বিদ্যমান সম্প্রীতি আরো জোরদার হবে।
গতকাল বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যসভার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান প্রদীপ ভট্টাচার্য, ভারত রাজ্যসভার সাবেক এমপি সোমেন্দ্রনাথ মিত্রসহ অন্যান্য প্রতিনিধি। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদ।
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, ভারত ও বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের মধ্যে যাতায়াত ও ব্যবসায়িক সুবিধা সহজ করা হলে দুই দেশই লাভবান হবে। তবে ভারতীয় ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রায়ই বিভিন্ন জটিলতার কথা শোনা যায়। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্প্রীতি বাড়াতে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার বিকল্প নেই।
সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্যের ইঙ্গিত করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। একটি গোষ্ঠী মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নতুন করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এরই অংশ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কের চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে তাদের কোনো অপচেষ্টাই সফল হবে না।
স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি প্রতিনিয়ত তাদের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, সব অপশক্তিকে মোকাবিলা করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে জোরদার করতে ২০০৩ সালে ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদ’ গঠন করা হয়।
সংগঠনটির চেয়ারপারসন এম এন বারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ বিরূপাক্ষ পাল প্রমুখ।