ধারণার চেয়ে বেশি কমেছে জাপানের জিডিপির প্রবৃদ্ধি

২০১৫ সালের শেষ তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জাপানের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ১ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। তবে এ সময়ে দেশটির জিপিডির প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ২ শতাংশ কমবে বলে বিশ্লেষকরা ধারণা করছিলেন।
স্থানীয় সময় সোমবার জাপানের সরকার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে দেশটির জিডিপির প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছিল। তবে গত বছর অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে কমেছে ১ দশমিক ৪ শতাংশ।
জাপানের দেশজ চাহিদা দুর্বল ও আবাসন খাতের বিনিয়োগ শ্লথ হওয়ায় দেশটির জিডিপি কমেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, জাপান সরকার দেশটির অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর পরও ২০১৫ সালের শেষ প্রান্তিকে দেশটির জিডিপি সংকুচিত হয়েছে। গত বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে তার আগের প্রান্তিকের চেয়ে জিডিপি দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। তবে এ সময়ে দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি কমবে বলে ধারণা করা হয়েছিল।
ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে শিনজো আবে জাপানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশটির অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে ‘আবেনোমিকস’ কর্মসূচি গ্রহণ করে। এর পরও দেশটির অর্থনীতি সংকটে রয়েছে। দুই দশক ধরে জাপান চাহিদা ও বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছে।
তবে অর্থনীতিবিদ মার্টিন শালজ বিবিসিকে বলেছেন, দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো। ফলে কোনো এক প্রান্তিকের ঋণাত্মক অবস্থা দেখে সার্বিক বিবেচনা করা ঠিক হবে না।
জাপানের অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে আবেনোমিকসের ত্রিমুখী পরিকল্পনা কাজ করছে। এই তিন নীতির প্রথমটি হচ্ছে মুদ্রা তীর। এতে দেশটির মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস করতে অর্থ সরবরাহ বাড়বে। দ্বিতীয় নীতি হচ্ছে আর্থিক তীর। এটি অর্থনৈতিক চাহিদার উদ্দীপনা সৃষ্টিতে সরকারি ব্যয় বাড়াবে। আর তৃতীয় নীতি হচ্ছে অবকাঠামোগত তীর। এই নীতি দেশটির অবকাঠামোগত পুনর্গঠনের মাধ্যমে অর্থনীতিকে আরো উৎপাদনমুখী ও প্রতিযোগী করে তুলবে।