ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন প্রকল্পের ব্যয় বাড়ল

ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন প্রকল্পের তৃতীয় সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এটিসহ মোট নয়টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক। এর মধ্যে আটটি প্রকল্প নতুন।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনের প্রকল্প শুরুর পর বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। এ বছরের মধ্যেই প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে। আগামীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনের এক্সপ্রেসিওয়ে নির্মাণ করা হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, অনুমোদিত নয়টি প্রকল্পের মোট ব্যয় চার হাজার ৯৬১ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবি চার হাজার ৯৪৫ কোটি নয় লাখ টাকা ও সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ১৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা অর্থায়ন করতে হবে।
মন্ত্রী জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে (দাউদকান্দি-চট্টগ্রাম অংশ) চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের তৃতীয় সংশোধনী অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় তিন হাজার ৮১৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা। সংশোধনের পর এ প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে ৬২৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০০৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
নতুন প্রকল্পগুলো :
১. ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার, রাজশাহী স্থাপন’ প্রকল্প। মেয়াদকাল ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের জুন। মোট ব্যয় ২২২ কোটি তিন লাখ টাকা। পুরোটায় সরকারি কোষাগার থেকে অর্থায়ন করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
২. ‘বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে ১২ ব্যারাক নির্মাণ’ প্রকল্প। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। মোট ব্যয় ২১৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পুলিশ ও গণপূর্ত অধিদপ্তর।
৩. ‘ঢাকার মালিবাগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৪৫৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণ’ প্রকল্প। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। মোট ব্যয় ১২৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
৪. মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনে গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ২৮৮টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। মোট ব্যয় ১২০ কোটি ১৪ লাখ টাকা। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও গণপূর্ত অধিদপ্তর এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
৫. কুমিল্লাহ সিটি করপোরেশনের রাস্তা, ড্রেন ও ফুটপাত উন্নয়ন। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের জুনের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। মোট ব্যয় ৮১ লাখ টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও কুমিল্লাহ সিটি করপোরেশন।
৬. রাজশাহী মহানগরীতে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা পুনঃসংস্কার প্রকল্প। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। মোট ব্যয় ৬৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় বিভাগ ও রাজশাহী ওয়াসা।
এ ছাড়া ময়মনসিংহ-গফরগাঁও-টেক সড়কের বানার নদীর ওপর পিসি গার্ড সেতু ও সরাইল-আলফাডাঙ্গা সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।