বাংলালিংক কর্মীদের ছাঁটাই বন্ধের দাবি

চাকরির নিশ্চয়তা বিধান করে সব ধরনের কর্মী ছাটাই বন্ধ করে আইন নির্ধারিত সব সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন বেসরকারি মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠান বাংলালিংকের কর্মীরা।
আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান বাংলালিংকের কর্মীদের কয়েকজন ব্যক্তি। বাংলালিংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের ব্যানারে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন বাংলালিংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার হোসেন।
বখতিয়ার হোসেন বলেন, ‘টেলিযোগাযোগ খাতে বিগত ১৫ বছরে অসংখ্য মেধাবী যোগদান করেছেন। তাঁদের অনেকে সরকারি চাকরিতে সুযোগ পেলেও একটি স্বচ্ছ, নির্ঝঞ্জাট জীবনযাপনের আশায় সরকারি চাকরির মায়া ত্যাগ করেছিলেন। আজ তাদের অন্যত্র যাওয়ার পথ নেই। এসব কর্মীদের অধিকাংশই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বেশ কয়েক বছর সাফল্যের সঙ্গে চাকরি করার পর, সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সবাই।
ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়াটি শ্রম আইনবিরোধী দাবি করে করে এই সিদ্ধান্ত তুলে নিয়ে চাকরি পুনর্বহালের দাবি জানান ইউনিয়নের নেতারা। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তাঁরা।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি বাংলালিংকের এক কর্মকর্তাকে ছাঁটাই করা হয়। মূলত এর পর থেকে বাংলালিংকে অসন্তোষ শুরু হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গুলশানে বাংলালিংকের সদর দপ্তর ‘টাইগার্স ডেনে’ সমবেত হন। এরপরই এক ই-মেইলের মাধ্যমে বাংলালিংক কার্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং দ্রুত কার্যালয় প্রাঙ্গণ ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই দিনই আরো এক কর্মকর্তাকে ডেকে নিয়ে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। একপর্যায়ে ওই কর্মকর্তা অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁর সহকর্মীরা।
বাংলালিংকের একাধিক কর্মকর্তা জানান, মূলত ইউনিয়নের কাজকর্ম শুরুর করার পরই কর্মী ছাঁটাইয়ে তৎপর হয়েছে বাংলালিংক প্রশাসন। অনুমোদনের জন্য ইউনিয়নের নাম শ্রম অধিদপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মীরা।