দুই ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফিলিপিনো ব্যবসায়ীর মামলা

ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) যে অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ সরানো হয়েছে, সেই অ্যাকাউন্টের ‘মালিক’ মামলা করেছেন।
উইলিয়াম গো নামের ওই ব্যবসায়ী ব্যাংকটির জুপিটার-মাকাতি শাখার ব্যবস্থাপক মাইয়া স্যান্তোস-দেগুইতো এবং সাবেক সিনিয়র কাস্টমার রিলেশন কর্মকর্তা অ্যাঞ্জেলা তোরেসের বিরুদ্ধে সই জালের অভিযোগে মামলাটি করেছেন।
উইলিয়াম গো’র অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেই বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া ৮১ মিলিয়ন (আট কোটি ১০ লাখ) ডলারের বড় একটি অংশ পাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে উইলিয়াম গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, এই অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তাঁর কোনো ধারণাই ছিল না। অথচ তাঁর নামে খোলা অ্যাকাউন্ট থেকেই বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করা হয়েছে। অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে অর্থ পাচার পর্যন্ত বিষয়ের কিছুই তিনি জানতেন না বলেও দাবি করেন তিনি।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি অ্যাকাউন্ট থেকে তোলা ২০ মিলিয়ন পেসো (ফিলিপাইনের মুদ্রা) সরাসরি ব্যবসায়ী উইলিয়ামের হাতে দেওয়া হয় বলে ডিজেডএমএম রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান ব্যাংক কর্মকর্তা তোরেস। তবে এই বক্তব্য মিথ্যা বলে দাবি করেছেন উইলিয়াম।
তোরেস বলেন, ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকের কাজে হাত লাগিয়ে তিনি নিজে এসব টাকা উইলিয়াম গোর লেক্সাস মডেলের গাড়িতে তুলে দেন। এমনকি টাকা তোলার রশিদেও উইলিয়ামের সই রয়েছে বলে জানান তোরেস।
তবে এক বিবৃতিতে তোরেসের বক্তব্যকে অস্বীকার করেছেন উইলিয়াম গো। অবশ্য গতকাল সিনেটের শুনানিতে তার কিছু বক্তব্যে গরমিল ধরা পড়ে। কখনো দেগুইতোর সঙ্গে দেখা হয়নি বলে গো দাবি করলেও জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ২৩ ফেব্রুয়ারি দেগুইতোর সঙ্গে দুইবার দেখা হওয়ার কথা স্বীকার করেন উইলিয়াম।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। চলতি মাসে এই চুরি যাওয়ার ঘটনাটি প্রকাশিত হয়। এ ঘটনার জের ধরে গত মঙ্গলবার গভর্নরের পদ থেকে সরে দাঁড়ান ড. আতিউর রহমান।