বাংলাদেশের ২৩ লাখ ডলার ক্যাসিনোর চিপসে

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া অর্থের কিছু অংশ আছে এমন একটি অ্যাকাউন্টের লেনদেন বন্ধ রেখেছে ফিলিপাইনের সোলেয়ার রিসোর্ট অ্যান্ড ক্যাসিনো। আজ মঙ্গলবার দেশটির সিনেটে এক শুনানিতে প্রতিষ্ঠানটির আইনজীবী এ তথ্য জানান।
ফিলিপাইনের সংবাদমাধ্যম এবিএস-সিবিএন নিউজ জানিয়েছে, রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া অর্থের একটি অংশ ফেরত দেওয়ার কথা জানিয়েছেন সন্দেহভাজন ‘মূল হোতা’ কিম ওং। ডিং ঝিজে ও সু হুয়া গাও নামের দুজন চীনা ব্যবসায়ী ক্যাসিনোতে ওই অর্থ রাখেন। ক্যাসিনোর ডিং গ্রুপের অ্যাকাউন্টের লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ওই অ্যাকাউন্টে ক্যাসিনোর চিপসে ১০ কোটি ৭৩ লাখ ৫০ হাজার ৬০২ ফিলিপাইনি পেসো আছে। মার্কিন ডলারে যা ২৩ লাখ ১৭ হাজার ৯২২।
ফিলিপাইনের ব্যবসায়ী কিম ওং শুনানিতে বলেন, আদালতের নির্দেশ ছাড়া অ্যাকাউন্টের অর্থের কোনো লেনদেন করা হবে না।
অভিযুক্তদের কক্ষ থেকে ১৩ হাজার ৪৭ লাখ ৬৯ পোসো (২৯ হাজার মার্কিন ডলার)পাওয়া গেছে। এই অর্থও গচ্ছিত রাখা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে সঞ্চিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার (প্রায় ৮০৮ কোটি টাকা) চুরি হয়। এর মধ্যে আট কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় প্রবেশ করে। এই অর্থছাড় হয় আরসিবিসি ব্যাংকের ম্যানেজার মায়া সান্তোস দেগুইতোর হাত দিয়ে। এ ঘটনায় ফিলিপাইনের সিনেটে মায়া সান্তোস দেগুইতো ও ফিলিপাইনের ব্যবসায়ী কিম ওংয়ের শুনানি চলছে।