৮৫ শতাংশ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে এসএমই খাত

দেশের মোট কর্মসংস্থানের ৮৫ শতাংশেরই জোগান দিচ্ছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাত। শিল্প খাতের গুণগত মানের পরিবর্তনে সরকারের পদক্ষেপের অবদান ক্রমেই জোরদার হচ্ছে। জিডিপিতে এ খাতের অবদান বাড়ছে।
আজ রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এসএমই মেলার উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের চালিকাশক্তি। এ খাতের ওপর ভর করেই দেশের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। রপ্তানি প্রবৃদ্ধি, পণ্য বৈচিত্র্যকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমোচনসহ সার্বিক আর্থসামাজিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে এসএমই খাত।’
আমির হোসেন আমু বলেন, ‘দেশের শিল্প খাতের ৯০ ভাগ শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানই এসএমইর আওতাভুক্ত। এ খাত দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। বর্তমানে দেশের কর্মসংস্থানের ৮০-৮৫ শতাংশ কর্মসংস্থানের জোগান দিচ্ছে এসএমই খাত। শুধু তাই নয় এ খাতের উৎপাদিত পণ্যের ৩০-৩৫ ভাগ অভ্যন্তরীণ জোগানও দিয়ে থাকে।’
শিল্পমন্ত্রী বলেন,‘শিল্প খাতের গুণগত মানের পরিবর্তনে সরকার কাজ করছে। এর ফলে শিল্প খাতের অবদান ক্রমেই জোরদার হচ্ছে। জিডিপিতে এ খাতের অবদান বাড়ছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে স্থির মূল্যে জিডিপিতে সার্বিক শিল্প খাতের অবদান প্রাক্কলন করা হয়েছে ৩৩ দশমিক ৪২ শতাংশ, যা ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ছিল ২৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ।’
আমির হোসেন আমু আরো বলেন, ‘এসএমই ফাউন্ডেশন চার হাজার ৯০১ জন নারী উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষিত করছে। পাশাপাশি নারী ও পুরুষ উদ্যোক্তা মিলে ৪১৪ জনকে ৪৯ কোটি টাকা এসএমই ঋণ প্রদান করেছে।’ বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় সিঙ্গেল ডিজিটে সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও মন্ত্রী জানান।
অনুষ্ঠানে এসএমই খাতের উন্নয়নে অবদান রাখায় পুরুষ ও নারী ক্যাটাগরিতে পাঁচজনকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার-২০১৬’ প্রদান করা হয়।
প্রসঙ্গত দেশে উৎপাদিত পাটজাত পণ্য, খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, চামড়াজাত সামগ্রী, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস সামগ্রী, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, আইটি পণ্য, প্লাস্টিক ও অন্যান্য সিনথেটিক, হস্তশিল্প, ডিজাইন ও ফ্যাশনওয়্যারসহ অন্যান্য মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের স্বদেশি পণ্য প্রদর্শিত ও বিক্রয় হবে।
মেলায় সারা দেশের ১৮৩টি এসএমই প্রতিষ্ঠান ১৯৩টি স্টলে তাদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন করে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ মেলা চলবে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত। দর্শনার্থীরা বিনামূল্যে মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিক্রয় এবং ক্রেতা-বিক্রেতার সংযোগ তৈরি করতে ‘জাতীয় এসএমই মেলা, ২০১৬’-এর আয়োজন করা হয়।