সিএনজির দাম না কমালে আন্দোলনের হুমকি

রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাসের (সিএনজি) দাম না কমালে লাগাতার আন্দোলনের কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সিএনজি ফিলিং স্টেশনের মালিকরা।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা এ কথা বলেন।
সংগঠনের নেতারা জানান, সরকার জালানি তেলের দাম কমানোর উদ্যোগের পাশাপাশি সিএনজির দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়াও শুরু করেছে। সরকারের এ সিদ্ধান্ত ছয় হাজার কোটি টাকার বেসরকারি বিনিয়োগকে মহাসংকটে ফেলে দেবে।
লিখিত বক্তব্য তুলে ধরে সংগঠনটির সভাপতি মাসুদ খান বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম কমানোর পাশাপাশি আনুপাতিক হারে সিএনজির দামও কমাতে হবে। সিএনজি খাতে বেসরকারি উদ্যোক্তারা এ পর্যন্ত প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। বর্তমানে এ খাতের অবস্থা খুবই নাজুক। খাতটিকে টিকিয়ে রাখতে হলে সিএনজির দাম কমানোর কোনো বিকল্প নেই।’
মাসুদ খান আরো বলেন, ‘আমরা গভীর বিস্ময়ের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, সরকার দাম কমানোর উদ্যোগ না নিয়ে উল্টো দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে শুনছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে মাসুদ খান বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে সিএনজির দাম বাড়ানো হলে গণপরিবহন মালিকরা সিএনজি ব্যবহারে নিরুৎসাহিত হবেন। এতে পরিবেশে আবার বিপর্যয় নেমে আসবে। দেশ আবার বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে পরিণত হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফারহান নূর, সহসভাপতি মনোরঞ্জন ভক্ত, নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।