এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে মহাসাগরের টেকসই ব্যবহার, সমুদ্র ও সামুদ্রিক সম্পদ সংরক্ষণ বিষয়ে বাংলাদেশের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (এসকাপ)।

গত ১৯ মে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের পাঁচদিনব্যাপী ৭২তম অধিবেশনের শেষে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সরকারপ্রধান ও অন্যান্য উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা সর্বসম্মতিক্রমে এ প্রস্তাব অনুমোদন দেয়। গতকাল রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।

আঞ্চলিক সহযোগিতা ও সংহতিবিষয়ক ৭২তম অধিবেশনে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের টেকসই অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন অর্জনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ৫৩টি দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ‘রিজনাল কোপারেশন ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক টু প্রমোট দ্য কনজারভেশন অ্যান্ড সাসটেইনেবল ইউজ অব দি ওশান্স, সিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্স ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক প্রস্তাবটি কয়েক দফা আলোচনার পর ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রস্তাবকে সমর্থন করে বক্তব্য দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও শ্রীলঙ্কা। দেশগুলো বাংলাদেশের প্রস্তাবের কো-স্পন্সর।

থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও এসকাপের স্থায়ী প্রতিনিধি সাদিয়া মুনা তাসনিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ব্লু ইকোনমির ধারণার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আমরা আমাদের জাতীয় আকাঙ্ক্ষায় বঙ্গোপসাগরের সামুদ্রিক সম্পদ পরিবেশবান্ধব উপায়ে ব্যবহার করতে চাই। এতে প্রথমবারের মতো এসকাপের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা ১৪-এর টেবিলে প্রস্তাবটি উপস্থাপন করি।’

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘২০১৪ সালের ১-২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ব্লু ইকোনমি সংক্রান্ত এক আন্তর্জাতিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে যে ব্লু ইকোনমির ধারণা প্রচার করা হয়, তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রস্তাবটি মেনে নেওয়া হয়েছে।’