এনবিআরের কার্যক্রম স্বেচ্ছাচারিতার পর্যায়ে : অ্যামটব

‘সরকার তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ খাতকে প্রাধান্য দিচ্ছে, অথচ এর সঙ্গে করনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। সরকারের নীতির সঙ্গে মিলছে না করনীতি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কার্যক্রম দৃশ্যত স্বেচ্ছাচারিতার পর্যায়ে পড়ছে। এ রকম পরিবেশ থাকলে বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ হারাবে।’
আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) সাধারণ সম্পাদক টি আই এম নুরুল কবীর।
জাতীয় বাজেট ও টেলিযোগাযোগ খাতে করনীতি সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে অ্যামটব।
সংবাদ সম্মেলনে নুরুল কবীর বলেন, ‘বাজেটে টেলিযোগাযোগ খাতে এমন সব কর চাপানো হয়েছে যা জনগণের সক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। অথচ এ খাত সামগ্রিকভাবে উন্নয়ন খাত হিসেবে কাজ করে।’
বাজেটে প্রস্তাবিত টেলিযোগাযোগ খাতে আরোপ করা শুল্ক বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করার দাবি জানিয়েছেন নুরুল কবীর। বাড়তি কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরোপিত কর প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
নুরুল কবীর বলেন, ‘সরকার একসময় কম্পিউটারের ওপর থেকে শুল্ক আরোপ কমিয়ে দেয়। এতে সরাসরি সরকারের কোনো লাভ হয়নি। কিন্তু সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় দেশেরই লাভ হয়েছে। মানুষের সক্ষমতা যত বাড়বে, তত ব্যবহার বাড়বে।’
নুরুল কবীর বলেন, ‘করপোরেট ট্যাক্সের ক্ষেত্রেও টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানগুলো বৈষম্যের শিকার। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি করপোরেট ট্যাক্স দিতে হয় টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানগুলোকে। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ না থাকলে বিনিয়োগ বাংলাদেশে না এসে অন্য দেশে চলে যাবে।’
নুরুল কবীর আরো জানান, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে টেলিযোগাযোগ খাতকে টিকিয়ে রাখতে সামগ্রিক কর ব্যবস্থার সংশোধন প্রয়োজন। তিনি আরো জানান, বাজেটের আগে এনবিআরকে ১২-১৩টি প্রস্তাব দেওয়া হয় অ্যামটবের পক্ষ থেকে। অথচ একটিরও প্রতিফলন বাজেটে দেখা যায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে এস এম রায়হান রশিদ, এয়ারটেলের পক্ষে আশরাফুল হক চৌধুরী, রবির পক্ষে ইকরাম কবীর, বাংলালিংকের পক্ষে তাইমুর রহমান এবং সিটিসেলের পক্ষে তানিয়া মাহবুব উপস্থিত ছিলেন।