কর্মসংস্থান না হলেই তরুণরা বিপথগামী হবে : বেজা চেয়ারম্যান

দেশের তরুণ-তরুণীদের যথাযথ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না হলেই তারা বিপথগামী হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বেজা কার্যালয়ে আজ সোমবার দুপুরে ‘ইউনাইটেড সিটি আইসিটি অর্থনৈতিক অঞ্চল’-এর প্রাক-যোগ্যতা নিবন্ধনপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন পবন চৌধুরী।
২০৩০ সালের মধ্যে সরকার ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির পরিকল্পনা করেছে বলে জানান বেজার চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে সাতটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠানকে কাজ শুরুর প্রাক-যোগ্যতা নিবন্ধনপত্র প্রদান করা হয়েছে। তবে আইটি খাতের মধ্যে এটি প্রথম। অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান নির্বাচন কমিটি ৭ এপ্রিল নতুন করে নয়টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান চূড়ান্ত করেছে। এর মধ্যে একটি ছিল ইউনাইটেড সিটি আইসিটি অর্থনৈতিক অঞ্চল।’
প্রাথমিক অনুমোদনের এক বছরের মধ্যে সব শর্ত পূরণ করা হলে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থানের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানান পবন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘শর্তের মধ্যে আছে পরিবেশ ছাড়পত্র, সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের সমীক্ষা, প্রকল্পের পরিকল্পনা ও নকশা জমা দেওয়া ইত্যাদি। আমি মনে করি উদ্যোক্তারা এসব শর্ত পূরণ করতে পারবে। এ আইটি পার্কটি হলে তথ্যপ্রযুক্তিতে শিক্ষিত অনেক তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হবে।’
জানা গেছে, তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) পণ্য ও সেবা উৎপাদনের লক্ষ্যে রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুলে ইউনাইটেড সিটি আইসিটি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করবে ইউনাইটেড গ্রুপ। এ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাবিত আয়তন ২ দশমিক ৪৩ একর। এখানে কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরি, হার্ডওয়্যার সংযোজনসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনে তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিগুলো বিনিয়োগ করবে।
অনুষ্ঠানে ইউনাইটেড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিক তালহা ইসমাইল বারী বলেন, ‘ইউনাইটেড গ্রুপ বর্তমানে বিদ্যুৎ, বন্দর, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, টেক্সটাইল ও নির্মাণ শিল্পে বিনিয়োগ রয়েছে। মাদানি অ্যাভিনিউতে ইউনাইটেড সিটি নামের একটি আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হচ্ছে। ওই এলাকার ভেতরেই হবে অর্থনৈতিক অঞ্চলটি। ফলে অর্থনৈতিক অঞ্চলের কর্মী ও বিনিয়োগকারীরা খুব সহজেই আবাসন, ব্যাংক, বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল ও হাসপাতালের সুবিধা পাবেন।’
কী পরিমাণ বিনিয়োগ আসতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে মালিক তালহা ইসমাইল বারী বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান করার ক্ষেত্রে আমরা জায়গা ও অবকাঠামো সুবিধা দেব। বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করবেন। ফলে কী পরিমাণ বিনিয়োগ আসবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে আইটি খাতে এরই মধ্যে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও ইউরোপের কয়েকটি দেশ বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। এ খাতের উদ্যোক্তারা ঢাকার বাইরে যেতে খুব বেশি আগ্রহী নন। ঢাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল হলে দক্ষ লোক পাওয়া সহজ হবে। আগামী দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চলটি তৈরি করা সম্ভব হবে।’
অনুষ্ঠানে বেজার নির্বাহী সদস্য ড. মো. এমদাদুল হক, মো. আবদুস সালাম, হরিপ্রসাদ পালসহ ইউনাইটেড গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।