বিদেশিদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘নিরাপত্তা ইস্যুতে শুধু পোশাক খাত সংশ্লিষ্ট বিদেশিরাই নন, পদ্মা সেতু, পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, মেট্রোরেলসহ সব বিদেশিকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা প্রদান করছে সরকার।’
আজ বুধবার সচিবালয়ে তৈরি পোশাক ক্রেতাদের আন্তর্জাতিক সংগঠন অ্যাকোর্ড ও তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নেতাদের সঙ্গে আয়োজিত বৈঠকে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
চলমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা ইস্যুতে বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে বিজিএমইএ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্রেতা জোট অ্যাকোর্ড স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার তৈরি পোশাক শিল্পের ক্রেতাদের সব নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। এ ছাড়া নিরাপত্তামূলক সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। পোশাক শিল্পের ক্রেতারা বিমানবন্দরে নামার পর থেকে কারখানা পরিদর্শন এবং আবারও বিমানবন্দরে যাতায়াতসহ সব ধরনের চলাফেরায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা পাবেন।’
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল আরো বলেন, ‘নিরাপত্তা ইস্যুতে কেবল পোশাক খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিদেশিরাই নন, বরং পদ্মা সেতু, পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, মেট্রোরেলসহ সব উন্নয়নমূলক প্রকল্প কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট বিদেশিদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রদান করছে সরকার।’
অ্যাকোর্ডের নির্বাহী পরিচালক রব ওয়েজ বলেন, ‘গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারি ও শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তাঁরা উদ্বিগ্ন হলেও আতঙ্কিত নন। বাংলাদেশে অ্যাকোর্ড ব্র্যান্ডদের ব্যবসা অব্যাহত থাকবে এবং তাঁরা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশের উন্নয়নে কাজ চালিয়ে যাবেন।’
শিল্পাঞ্চল পুলিশের মহাপরিচালক আব্দুস সালাম বলেন, ‘ক্রেতারা কোথায় যাবেন কিংবা কোথায় থাকবেন, সে বিষয়ে তথ্য জানালে শিল্পাঞ্চল পুলিশ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’
বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘নিরাপত্তা ইস্যুতে সরকার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে। যদি এ ইস্যুতে ক্রেতারা এ দেশে আসতে না চান, তবে পোশাক রপ্তানিকারকরা বিদেশে গিয়ে তাদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন।’
আলোচনা সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি টিপু মুন্সি, শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) প্রথম সহসভাপতি ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি মো. সফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন), বিজিএমইএর বর্তমান সহসভাপতি এস এম মান্নান (কচি)সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।