গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব, গণশুনানি শুরু

গ্যাসের দাম বাড়াতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গণশুনানি শুরু করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। আজ রোববার সকালে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) অডিটরিয়ামে এ গণগুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আগামীকাল সোমবারও এ শুনানি চলবে।
প্রথমদিনে আজ গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের সঞ্চালন ফি দশমিক ১৫৬৫ থেকে বাড়িয়ে দশমিক ৩৬৫৬ টাকা করার প্রস্তাব করেছে। তবে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরে মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) প্রতিনিধিরা।
গ্যাসের দাম বাড়াতে কয়েক মাস আগেই প্রস্তাব করেছিল বিতরণ ও সঞ্চালনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ গণশুনানি শুরু করে বিইআরসি।
জিটিসিএল বর্তমানের চেয়ে প্রায় আড়াইগুণ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। গণশুনানিতে এ প্রস্তাবের পক্ষে কথা বলেন গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) পরিচালক (অর্থ) শরিফুর রহমান।
গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের বিরুদ্ধে যুক্তি তুলে ধরেন ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা শামছুল আলম। তিনি বলেন, গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর দাম বাড়ানোর পর এক বছরের মধ্যে বিইআরসির আইন অনুযায়ী দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে বলে মন্তব্য করেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ। বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় অন্তত আমদানি করা এলএনজি সরবরাহ শুরু না করা পর্যন্ত গ্যাসের দাম বাড়ানো উচিত হবে না।
গ্যাস বিতরণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি করবে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। তারপর তাদের সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান।
দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর গণশুনাণির প্রতিবাদে আজ কমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে বেশ কয়েকটি বাম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।