ডিএসইর লেনদেন ৭০০ কোটি টাকা ছাড়াল

ছয় মাস পর দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন আবারও ৭০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এর আগে গত বছরের ১৬ নভেম্বর ডিএসইর লেনদেন ছিল ৭৫৩ কোটি দুই লাখ ৪২ হাজার টাকা। আজ রোববার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭১০ কোটি ৬০ লাখ ৮২ হাজার টাকা। গত বৃহস্পতিবার লেনদেন হয় ৬৬৯ কোটি ৩৯ লাখ ১৩ হাজার টাকা। আগের দিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে ৪১ কোটি ২১ লাখ ৬৯ হাজার টাকা।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, লেনদেনের শুরুর পর ডিএসইতে আজ বিক্রির চাপ লক্ষ করা যায়। তবে তা বেশিক্ষণ টেকেনি। পৌনে ১১টা থেকে ক্রয়াদেশ বাড়তে থাকে। এতে সূচক ৪৩৩৫ পয়েন্টে পৌঁছায়। এর পর থেকে ক্রয়াদেশ কমতে থাকলে কিছুটা ওঠানামার মধ্য দিয়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়। লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ১ পয়েন্ট বেড়ে ৪৩১৫.৯৯ পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট ও শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট বাড়ে।
ডিএসইতে আজ ১৫ কোটি ৩৭ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮২টি সিকিউরিটি মোট ৭১০ কোটি ৬০ লাখ ৮২ হাজার টাকায় লেনদেন হয়। লেনদেন হওয়া ৩০৭টি সিকিউরিটির মধ্যে দাম বাড়ে ৯৮টির, কমে ১৯৩টির ও অপরিবর্তিত ছিল ১৬টির দাম।
বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন বিনিয়োগকারীরা। বাজেটে প্রণোদনার প্রত্যাশাও বিনিয়োগে প্রভাবিত করছে বিনিয়োগকারীদের।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) আজ লেনদেনে বড় অগ্রগতি হয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১০২ কোটি ৬৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৪৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বেশি।
সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৩১টি সিকিউরিটির মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৫টির, কমেছে ১৪০টির ও অপরিবর্তিত ছিল ১৬টির দাম। সিএসইর সার্বিক সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৩৪০.১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল, আরএকে সিরামিক, খুলনা পাওয়ার, সাইফ পাওয়ারটেক, এসিআই ফর্মুলেশন, মবিল যমুনা, ওয়েস্টার্ন মেরিন, বিডি থাই ও বারাকা পাওয়ার।
দাম বাড়ায় এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল, আরএকে সিরামিক, পাওয়ার গ্রিড, সাইফ পাওয়ারটেক, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন, সমতা লেদার, সেন্ট্রাল ফার্মা, খুলনা পাওয়ার ও এমআই সিমেন্ট।
বেশি দাম হারানো ১০টি কোম্পানি হলো ইনটেক লিমিটেড, ওয়াটা কেমিক্যাল, প্রিমিয়ার ব্যাংক, স্টান্ডার্ড ইনস্যুরেন্স, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, আর্গন ডেনিমস, রহিমা ফুড, গোল্ডেন সন, নর্দার্ন ইনস্যুরেন্স ও এফএএস ফাইন্যান্স।