বিজিএমইএর সভাপতি কচির পদত্যাগ চান সদস্যদের একাংশ
সরকার পতনের পর বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি এস এম মান্নান কচির পদত্যাগের দাবি করছেন সংগঠনটির সদস্যদের একাংশ। পাশাপাশি বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ বাতিল ঘোষণা দিয়ে অন্তবর্তী পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরির মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থার দাবি করেন তারা।
আজ সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘নির্দলীয়, নিরপেক্ষ ও ব্যবসাবান্ধব বিজিএমইএ চাই’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবি করেন। সম্মেলনের শুরুতেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল শহীদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।
সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসাদ বিন রনি বলেন, ফ্যাসিবাদ সরকারের পতন হয়েছে। ফ্যাসিবাদ সরকারের দোসরদের বহাল তবিয়তে রেখে দেশ সংস্কার সম্ভব না। তাই বিজিএমইএর যারা শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন, তাদের পদত্যাগ করত হবে।
সম্মেলনে অনন্ত কোম্পানিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনামুল হক খান (বাবলু) বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কয়েক সপ্তাহ কারখানা পরিচালনা ব্যাহত হলে ৬ অগাস্ট সকাল থেকে কল কারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণা এলে বিজিএমইএ বিপরীত নোটিস দিয়ে কারখানা বন্ধ রাখতে বলে। এতে মালিকরা বিভ্রান্ত হন। অনেকে কারখানা খুলে শ্রম অসন্তোষের মধ্যে পড়েন। এমন অবস্থায় ৭ অগাস্ট বিজিএমইএতে উপস্থিত হলে বিজিএমইএর সভাপতি এস এম মান্নান কচিকে না পেয়ে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম রফিকুল ইসলামের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
তখন মতবিনিময়ে সভাপতি ও বোর্ড সদস্যদের ব্যর্থতার জন্য পদত্যাগের দাবি জানালে তারা নীতিগতভাবে সম্মত হন দাবি করে বলা হয়, একপর্যায়ে অসংখ্য বহিরাগত বিজিএমইএ ভবনে দেখা গেলে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সকলের অনুরোধে তাদেরকে সভাস্থল ত্যাগ করতে বললে তারা সভাস্থল ত্যাগ করেন ঠিকই, কিন্তু বিজিএমইএ ভবনেই থাকেন। এরপর কচির অনুগত পরিচালক রেজাউল মিরু, সাইফুদ্দিন সাগর ও রাজিব চৌধুরী পুনরায় বহিরাগতসহ সভাকক্ষে ঢুকে অরাজকতা সৃষ্টি করলে মিটিং অসমাপ্ত রেখে বোর্ড সদস্যরা বেরিয়ে যান।
এ ঘটনায় বিজিএমইএর সহসভাপতি অবদুল্লাহ হিল রাকিব নেতৃত্ব দেন উল্লেখ করে ইনামুল হক বলেন, উনি এখনও সদস্যদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। আর পুরো ঘটনা মিথ্যা ব্যাখ্যা দিয়ে বিজিএমইএ একটি মনগড়া প্রেসনোট দিয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে অবদুল্লাহ হিল রাকিব বেশকিছু দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো—অবিলম্বে বিজিএমইএ সভাপতি ও পরিচালনা পর্ষদের পদত্যাগ, দলীয় প্রভাবমুক্ত অন্তবর্তীকালীন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রণয়নের মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি বিজিএমইএর দুর্নীতিবাজদের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানানো হয়।