প্রবাসী আয় বেড়েছে ১৭.৫৩ শতাংশ

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি প্রথম ২২ দিনে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স দেশে এসেছে আট কোটি ৭৭ লাখ ২৪ হাজার মার্কিন ডলার। গত বছরের একই সময়ে তুলনায় চলতি মাসে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় বেড়েছে ১৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ। আজ রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম ২২ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১৯২ কোটি ৯৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় দাঁড়ায় ২৩ হাজার ৪৫৪ কোটি ৫৬ লাখ আট হাজার ২০০ টাকা (প্রতি ডলার ১২১ টাকা ৫৩ পয়সা হিসেবে)। মাসটিতে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় দেশে এসেছে আট কোটি ৭৭ লাখ ২৪ হাজার ডলার। আগের বছরের (২০২৪ সাল) ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসী আয় এসেছিল ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার। আর মাসটিতে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল সাত কোটি ৪৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার। এই সময়ের ব্যবধানে চলতি মাসে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় বেড়েছে এক কোটি ৩০ লাখ ৮৪ হাজার ডলার বা ১৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
অন্যদিকে, চলতি বছরের গত জানুয়ারিতে প্রবাসী আয় এসেছিল ২১৮ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার ডলার। মাসটিতে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল সাত কোটি চার লাখ ৯১ হাজার ডলার। গত জানুয়ারির তুলনায় চলতি ফেব্রুয়ারিতে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় বেড়েছে এক কোটি ৭২ লাখ ৩৩ হাজার ডলার।
চলতি ফেব্রুয়ারির প্রথম ২২ দিনে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ১০৯ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। এ ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৮ কোটি ৬৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৪ কোটি ৪৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪২ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার।
দেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে ফেব্রুয়ারির প্রথম ২২ দিনে একক ব্যাংক হিসেবে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে প্রবাসী আয় ২৭ কোটি ৪৮ লাখ ১০ হাজার ডলার এসেছে। প্রবাসী আয় আসার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকটির মাধ্যমে এসেছে ২৬ কোটি ৯২ লাখ ১০ হাজার ডলার। এরপর জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে ১৮ কোটি ৬৯ লাখ ৭০ হাজার ডলার, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৪ কোটি ৪৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ১২ কোটি ৪০ হাজার ডলার, জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি ৫০ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং ব্র্যাক ব্যাংকের ১০ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার ডলার এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১৮ কোটি ৫২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। গত বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার ডলার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার ডলার, মেতে ২২৫ কোটি ৪৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার, জুনে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার, জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে ২২১ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ১০ হাজার ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮০ হাজার ডলার, নভেম্বরে ২১৯ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার এবং ডিসেম্ববরে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার এসেছিল।
আগের বছরের (২০২৩ সাল) ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৯ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার ডলার, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি ৪০ হাজার ডলার, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।