কেজিপ্রতি ৪০০ টাকায় মিলছে মাংস

প্রতি বছরের মতো এবারও ভ্রাম্যমাণ বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে মাংস। রাজধানীর প্রধান রাস্তাসহ অলিতেগলিতে আজ মাংস বেচাকেনার এই বাজার গড়ে ওঠেছে। বাজারগুলোতে কোরবানির মাংস প্রতিকেজি ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। বাজারভেদে মাংস দামের পার্থক্য আছে। বিকেলের পর থেকেই রাজধানীর মোহাম্মদপুর, বাড্ডা, কারওয়ানবাজার, রামপুরা, খিলগাঁও, যাত্রাবাড়ী ও জুরাইন এলাকায় এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
পশু কোরবানির পর রাজধানীর বেশিরভাগ জায়গায় বিকেলের মধ্যেই শেষ করে নিম্নবিত্ত ও দরিদ্রদের মধ্যে মাংস বিতরণ। বিভিন্ন স্থানের বাড়ি বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা সেই মাংস অনেকেই নিজেদের জন্য রেখে দেয়। আবার অনেকেই অস্থায়ী বাজারে বিক্রি করে দেয়। বিকেল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত এই খোলাবাজারে মাংস বিক্রি হয়। মানভেদে প্রতিকেজি মাংস ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকা। হাড়-মাংস মিশ্রিত প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা। হাড় ছাড়া শুধু মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা। কোথাও কোথাও এর চেয়েও বেশিতে বেচাকেনা হচ্ছে।
কোরবানির গরু কেনা থেকে শুরু করে হাসিল পরিশোধসহ অন্যান্য ব্যয় হিসেব করলে দেখা যায়, কোরবানির মাংসের প্রতিকেজি দাঁড়ায় ৮৫০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা। অবশ্য গরু কেনার ওপর নির্ভর করে এই দামের ভিন্নতা রয়েছে। দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা সেই মাংসই এখন কয়েক হাত ঘুরে রাজধানীর বিভিন্নস্থানে অস্থায়ী খোলাবাজারে বিক্রি হয় সর্বনিম্ন ৪০০ টাকা।
রাজধানীর বাড্ডায় কোরবানির মাংস কিনতে আসা ক্রেতা জোবায়ের বলেন, এক কেজি মাংস কিনেছি ৪০০ টাকা দিয়ে। এখন দেখছি, সেটাতে হাড়ই বেশি। তবে, মাংস একেবারে ফ্রেস। একই বাজারের কথা হয় আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, এক কেজি মাংস কিনেছি ৫৫০ টাকা দিয়ে। দেখে মনে হচ্ছে, ভাল মাংস পেয়েছি। যাত্রাবাড়ীতে কথা হয়েছে আশরাফের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঢাকায় একা থাকি। আত্মীয় স্বজন সবাই গ্রামে। কোরবানি গতবার দিয়েছি। এবার দেয়নি। ঢাকায় আছি। এখানে এসে তিন কেজি হাড় ছাড়া মাংস কিনেছি। দাম নিয়েছে এক হাজার ৯০০ টাকা। কোরবানির মাংস ঘ্রাণ অন্যরকম। জুরাইনে কথা হয় ফিরোজ আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, কম দামে মাংস কিনতে এখানে এসেছি। দুই কেজি মাংস ৯০০ টাকা দিয়ে কিনেছি। মোহাম্মদপুরের বেঁড়ি বাধে মাংস কিনতে আসা ক্রেতা নাজমুল বলেন, দোকান থেকে মাংস কিনতে অনেক টাকা লাগে, এখান থেকে অনেক কম টাকা লাগে মাংস কেনা যায়।
একই বাজারের বিক্রেতা রহিম আকন বলেন, কম আয়ের মানুষ, যারা ৮০০ টাকা দিয়ে মাংস কিনতে কষ্ট হচ্ছে। তারাই কেবল এখানে আসে। এছাড়া যারা পশু কোরবানি দিতে পারেননি, চক্ষুলজ্জায় কারো দরজায় যেতে পারেননা, তারাও এই বাজারের মূল ক্রেতা।