৬৩ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান হতে রাজস্ব আদায় ১১৭ কোটি টাকা

আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরুর সাত মাস অতিক্রম করেছে। নবগঠিত সংস্থা হিসেবে এ ইউনিটের জনবল ও লজিস্টিকসহ বহু সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই রাজস্ব পুনরুদ্ধারসহ গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে কর ফাঁকি উদঘাটন করে আইনানুগ ও ন্যায্য রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করতে অনুকরণীয় ও বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে চলেছে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এ প্রতিষ্ঠান।
আজ সোমবার (১৪ জুলাই) এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল-আমিন শেখ এ কথা বলেন।
জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, নবগঠিত এই দপ্তরটি গত ডিসেম্বর হতে এ পর্যন্ত গত সাত মাসে গোয়েন্দা কার্যক্রমের ভিত্তিতে ১৮৩ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের কর ফাঁকির প্রাথমিক তদন্তে এক হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির বিষয় উদঘাটন করেছে। উদঘাটিত রাজস্ব ফাঁকি হতে ৬৩ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ইতোমধ্যে ২৩১টি চালানের মাধ্যমে ১১৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা উদ্ধার করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে সুনির্দিষ্ট কর ফাঁকির তথ্য পাওয়ায় শতাধিক ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবগুলোর অন্তর্বর্তী জব্দ করা হয়েছে। আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট করদাতাদের স্বেচ্ছায় সঠিক কর প্রদানে উৎসাহিত করছে এবং একইভাবে কর ফাঁকিবাজ ও অর্থপাচারকারীদের প্রতি স্পষ্ট বার্তা প্রদান করছে। যেকোনো ধরনের করফাঁকি ও বেনামি সম্পদ অর্জনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট বদ্ধ পরিকর।
বাংলাদেশের রাজস্ব খাতে আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট (আইটিআইআইইউ) এর যাত্রা নৈতিক, প্রযুক্তিগত ও আইনগত দিক থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ইতোমধ্যে অর্জিত সফলতা প্রমাণ করে- এই ইউনিটের কার্যক্রম কেবলমাত্র রাজস্ব পুনরুদ্ধার নয়, করদাতাদের কমপ্লায়েন্স বৃদ্ধি ও কর সংস্কৃতি বিকাশে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
এনবিআর দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, কর আদায়ে ন্যায্যতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে জাতির সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করা সম্ভব। আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটের ক্রমবর্ধমান সক্ষমতা, প্রযুক্তিনির্ভরতা এবং দক্ষ মানবসম্পদ ভবিষ্যতে বাংলাদেশের শক্তিশালী রাজস্ব কাঠামো বিনির্মাণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।