শঙ্কায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক

হত্যার হুমকির পর চব্বিশ ঘণ্টায় পুলিশি পাহারায় থাকলেও নিজেকে এখনো নিরাপত্তাহীন মনে করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আজিজুর রহমান।
গত ২৭ এপ্রিল ক্লাসে হিজাব পরে আসায় ছাত্রীকে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগের পর ফেসবুকে ড. আজিজুরকে এ হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। অধ্যাপক আজিজুর বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে তিনটি মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এরপরই এ হত্যার হুমকি।’
অধ্যাপক বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরা আজীবন নিরাপত্তা আশা করতে পারব না। পুলিশ এখন আমাকে নিরাপত্তা দিচ্ছে। হয়তো আরো কিছুদিন থাকবে। যখন পুলিশ মনে করবে আর হুমকি নেই, তখন তারা নিরাপত্তা প্রত্যাহার করবে। কিন্তু যেভাবে দেশে মুক্তমনা, অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, এগুলো বিচারের আওতায় নেওয়া হচ্ছে না। সামান্য গ্রেপ্তার হচ্ছে, কিন্তু একটারও বিচার হয়নি। তাই ১৬ কোটি সাধারণ মানুষের মতো আমার মধ্যেও নিরাপত্তাহীনতা কাজ করছে।’
হত্যার হুমকির পর বাসার বাইরে যান কি না—এ প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আজিজুর রহমান বলেন, ‘বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি। তবে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাইরে যেতে হলে তাঁকে জানাতে বলেছেন এবং পুলিশ আমাকে নিরাপত্তা দেবে বলে জানিয়েছেন।’ হত্যার হুমকির পর শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি।
গত ২৭ এপ্রিল হিজাব পরে ক্লাসে আসায় মনোবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে অধ্যাপক আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে। বিভাগের শ্রেণিকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিন এ বিষয় নিয়ে তিনি ক্লাসের অন্য শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়া একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর এ হত্যার হুমকি পান।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের অনুরোধে শিক্ষক আজিজুর রহমানের নিরাপত্তায় তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসায় পাঁচ পুলিশ সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে।