স্কুলে ভর্তিতে ৫ শতাংশ কোটার আদেশ বাতিল

বিতর্কের মুখে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের সন্তানদের সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে পাঁচ শতাংশ কোটার আদেশ বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে কোটার স্থলে নতুন করে প্রতি শ্রেণিতে একটি করে আসন বেশি রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ জুলাই গণ-অভ্যুত্থান আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সরকারি স্কুলের ভর্তিতে লটারির জন্য নির্ধারিত আসন সংখ্যার অতিরিক্ত প্রতি শ্রেণিতে একজন করে ভর্তির জন্য আসন সংরক্ষিত থাকবে।
গতকাল সোমবার (৩ মার্চ) আগের আদেশ বাতিল করে নতুন আদেশ জারি করেছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব (মাধ্যমিক-১) মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার।
নতুন আদেশে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে গণঅভ্যুত্থানের ফলে অনেক ছাত্র-জনতা আহত ও শহীদ হন। তাদের পরিবারের সদস্যদের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে জারিকৃত আদেশ বাতিল করে নতুন আদেশ জারি করা হলো।
আদেশ আরও বলা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত/শহীদ পরিবারের সদস্যদের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লটারির মাধ্যমে ভর্তির জন্য নির্ধারিত আসন সংখ্যার অতিরিক্ত প্রতি শ্রেণিতে এক জন করে ভর্তির জন্য আসন সংরক্ষিত থাকবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪ এ আহত/শহীদ পরিবারের সদস্যদের আসন নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্র/গ্যাজেটের সত্যায়িত কপি আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে এবং ভর্তির সময় মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে ইস্যুকৃত জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪-এ শহীদদের গেজেট যথাযথভাবে যাচাই করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪ এ আহত/শহীদ পরিবারের সদস্যদের পাওয়া না গেলে মেধা তালিকা থেকে উক্ত আসনে ভর্তি করতে হবে। কোনো অবস্থায় আসন শূন্য রাখা যাবে না।
এর আগে, গত ২ মার্চ (২০ ফেব্রুয়ারি স্মারকে) একটি আদেশ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়—মুক্তিযোদ্ধা কোটার মতো জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের সন্তানদের সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে পাঁচ শতাংশ কোটা পাবে।
আদেশে বলা হয়েছে—মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত বা শহীদ পরিবারের সদস্যদের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য পাঁচ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান বলেন, নতুন সার্কুলারের বিষয়টি আমার জানা নেই। আগের সার্কুলারটি আমরা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ হিসেবে শুধু ওয়েবসাইটের আপলোড করেছি। সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাতিলের বিষয়টি আমরা জানা নেই।