পেকুয়ায় ব্যালট পেপার ছিনতাই, ব্যালট বক্স ভাঙচুর

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ফাঁসিয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আজ রোববার ব্যালট পেপার ছিনতাই ও ব্যালট বাক্স ভাঙচুর করে একটি পক্ষ। এ সময় কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের একদল সমর্থকের সঙ্গে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বদিউল আলমের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। দুপুরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কক্সবাজারের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এস এম সাহাদাত হোসেন জানান, বারবাকিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তৃতীয় ধাপে আজ কক্সবাজারের পেকুয়া ও চকরিয়া উপজেলার মোট ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হয়। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
নির্বাচন হওয়া ইউনিয়নগুলো হলো—চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল, কোনাখালী, সাহারবিল, পশ্চিম বড় ভেওলা, বদরখালী, পূর্ব বড় ভেওলা, ঢেমুশিয়া, ভেওলা মানিকচর, কাকারা ও লক্ষ্যারচর এবং পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী, পেকুয়া সদর, মগনামা, উজানটিয়া, বারবাকিয়া ও শীলখালী। এর মধ্যে পেকুয়া সদর, লক্ষ্যারচর ও সাহারবিল ইউনিয়নে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করা হয়।
তৃতীয়ধাপের ইউপি নির্বাচনে চকরিয়ার ১০ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৬৪ জন, সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য পদে ১৩২ জন ও সাধারণ ইউপি সদস্য পদে ৩৬৬ জন প্রার্থী এই ভোটযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচনের দিন সকালে ব্যালট পেপার কেন্দ্রে সরবরাহ করা হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে পাঁচজন পুলিশ সদস্য ও ১৭ আনসার সদস্য রয়েছে। চকরিয়ায় তিন প্লাটুন বিজিবি সদস্য ও ৪০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টহলে আছে। সার্বক্ষণিক মাঠে রয়েছে তিনজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। এ ছাড়াও র্যাবের ছয়টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, পুলিশের দুটি মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স প্রতিটি ইউনিয়নে নিরবচ্ছিন্নভাবে দায়িত্ব পালন করছে।
পেকুয়ার ছয় ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪৫ জন, সাধারণ সদস্য পদে ২৮৫ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৭০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত রয়েছেন ২৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, চার প্লাটুন বিজিবি ও ৩৫০ জন পুলিশ সদস্য। এ ছাড়াও র্যাব-১৫-এর একটি চৌকস দল স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়মিতভাবে কেন্দ্র টহলে রয়েছে।