২৭ এপ্রিলের মধ্যে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবি
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/04/25/photo-1493122399.jpg)
জনতা ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তা পদে লিখিত পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়েছে পরীক্ষার্থীদের একাংশ। তাদের দাবি, ওই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায় পরীক্ষার আগেই। এ ব্যাপারে জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তিও দাবি করেছে তারা।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় পরীক্ষার্থীরা। আগামী ২৭ এপ্রিলের মধ্যে ওই পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়েছে তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ক রাকিব হাসান। তিনি বলেন, ‘গত শুক্রবার জনতা ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তা পদে লিখিত পরীক্ষা ছিল। এই পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়। এবং অনেক পরীক্ষার্থীর কাছে আগেই প্রশ্নপত্র চলে যায়।’
রাকিব হাসান বলেন, ‘জনতা ব্যাংকের প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার মধ্যদিয়ে শেখ মুজিবের আদর্শে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলা বাংলাদেশকে মেধাহীন করার ষড়যন্ত্র চলছে। এদের রুখে দিতে হবে।’
রাকিব হাসান বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত কমিটি গঠন করলে তা বেরিয়ে আসবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আগামী ২৭ তারিখের মধ্যে ফাঁস হওয়া ওই প্রশ্নপত্রের পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় লিখিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করতে হবে।’ তা না হলে এর বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন বলেও জানান তিনি।
গত শুক্রবার ঢাকার ইডেন মহিলা কলেজ, লালমাটিয়া কলেজ ও আইডিয়াল কলেজে জনতা ব্যাংকের এই লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় বলে অনেক পরীক্ষার্থী অভিযোগও করেন।
এ ব্যাপারে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান, লিখিত ওই পরীক্ষার ঠিক আধা ঘণ্টা আগে পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র পৌঁছে যায়। আর পরীক্ষার ঠিক সময়ে পরীক্ষার্থীদের হাতে প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। এ কারণে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো মানেই হয় না। এ সময় যারা ডিভাইস ব্যবহার করছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।’
গত ২৪ মার্চ জনতা ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৮৩৪টি পদের বিপরীতে উত্তীর্ণ হয় ১০ হাজার ১৫০ জন। গত শুক্রবার ৯ হাজার ৪০০ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।