কক্সবাজারে চোরাচালান প্রতিরোধে কঠোর নজরদারির নির্দেশ
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সক্রিয় বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপের কর্মকাণ্ড যেন বাংলাদেশের ভেতরে কোনো সমস্যার কারণ না হয়, সে বিষয়ে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সব সময় সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজির আহমেদ। তিনি মাদক পাচার ও চোরাচালান প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি বাড়াতে বলেছেন।
আজ রোববার (১৫ জানুয়ারি) কক্সবাজারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২৬তম সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের সময় বেনজির একথা বলেন।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, সংসদীয় কমিটি এবং পুলিশ বিজিবির শীর্ষ কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বাংলাদেশের মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এসময় তারা সীমান্তের নানা সমস্যা চিহ্নিত করেন।
বেনজির জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বেশ কিছু সন্ত্রাসী গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি নৌবাহিনী কোস্টগার্ড তারাও সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। এই এলাকার আইনশৃঙ্খলা সার্বিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে কীভাবে ভালো রাখা যায়, সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে বেনজির আহমেদ আরও জানান, রোহিঙ্গা সমস্যা একটা আন্তর্জাতিক সমস্যা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তারা বলেছেন, তাদের যেন দ্রুত ফেরত নেওয়া হয়। কূটনৈতিকভাবে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের জন্য চেষ্টা করছে সরকার।
সংসদীয় কমিটির সভায় যোগ দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক চুরি, ডাকাতি, খুন-গুম, অপহরণ-মুক্তিপণ কোনভাবেই করতে দেওয়া হবে না। এসব অপরাধ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। একইসঙ্গে ইয়াবাসহ মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
বেনজির আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য মো. আফছারুল আমীন, মো. হাবিবুর রহমান, সামছুল আলম দুদু, কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা, পীর ফজলুর রহমান, নূর মোহাম্মদ, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ, বেগম রুমানা আলী, পুলিশের আইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।