জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে ভোগান্তি দূর করা হবে : তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশকে অপ্রতিরোধ্য গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন, সব বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে বাংলাদেশ যখন সবার কাছে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত, তখন জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবায় কোনো প্রকার ভোগান্তি মেনে নেওয়া যায় না। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবায় কোথায় ঘাটতি বা সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তা চিহ্নিত করার জন্য এই আন্তমন্ত্রণালয় সভা। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে ভোগান্তি দূর করা হবে।
গতকাল সোমবার (৯ অক্টোবর) স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিষয়ে সার্বিক পর্যালোচনাবিষয়ক এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সভায় জানানো হয়, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সার্ভারের ক্যাপাসিটি কম থাকায় সেবা পেতে নাগরিকদের বিড়ম্বনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এ সময় ন্যারো গেটওয়ে সম্প্রসারণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে জানানো হয়, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সার্ভার এর প্রতিদিন অন্তত ৫০ হাজার নিবন্ধন সম্পন্ন করার ক্ষমতা থাকা উচিত; যা বর্তমানে ১৭ হাজার রয়েছে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং কাউন্সিল, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, ডিপার্টমেন্ট অফ ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি এবং জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের সাতজন প্রতিনিধি সমন্বয়ে কমিটি আগামী সাত দিনের মধ্যে একটি রিপোর্ট উপস্থাপন করবে। এই কমিটি জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবায় প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য পরামর্শ প্রদান করবে। এ ছাড়া জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবায় সার্ভারের ক্যাপাসিটি বাড়ানো, সফটওয়্যার ডিজাইন এবং ডাটাবেজ তৈরির পরামর্শ দেবে এই কমিটি।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. রাশেদুল হাসান, উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী মো. মিজানুর রহমান। এ ছাড়া তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয় এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এ সময় প্রস্তাব রাখেন উপরোক্ত কমিটির রিপোর্টের পর আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়কে প্রযুক্তিগত সহায়তা করবে আইসিটি ডিভিশন।
সভায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের অর্গানোগ্রাম বা লোকবল কাঠামোকে সময় উপযোগী করে গড়ে তোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ সময় নাগরিক ভোগান্তি পরিহারে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবা চলমান রেখে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সম্পূর্ণ করার নির্দেশ প্রদান করেন।