নির্বাচন কমিশন (ইসি) সরকারের দেওয়া সময়সীমার মধ্যে নির্বাচনের দিকে এগোনো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে ভোটার তালিকা হালনাগাদে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) কর্তৃক ল্যাপটপ, স্ক্যানারসহ অন্যান্য উপকরণ হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ কথা জানান।

এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা রাজনীতির মধ্যে ঢুকতে চাই না। আইন, কানুন বিধি বিধানের মধ্যে থাকব। আমরা ফ্রি, ফেয়ার গেম উপহার দিতে চাই। যেখানে সব প্লেয়ার অবাধে খেলতে পারে। আমরা এজন্য একটি মাঠ তৈরি করতে চাই। সরকারের দেওয়া সময়সীমা মাথায় রেখে নির্বাচন কমিশন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে।’

সিইসি বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের প্রত্যাশা অনেক। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে কমিশন বদ্ধপরিকর। সব দলের জন্য লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করাই ইসির লক্ষ্য।’

ইউএনডিপির উপকরণ হস্তান্তর প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার ইউএনডিপি। তারা ডিসেম্বরে আমার সঙ্গে দেখা করলে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় সহায়তার জন্য বলেছিলাম। এত দ্রুত তারা উপকরণ দিয়ে সহায়তা করায় আমি অভিভূত।’

সিইসি বলেন, ‘ল্যাপটপ, স্ক্যানার, ক্যামেরা দিয়ে তারা (ইউএনডিপি) সহায়তা করল, যা আজ শুরু হলো। আশা করি, এগুলো সামনের জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সহায়তা করবে।’

এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদ ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে। তাই আজ কয়েকশ ল্যাপটপ, স্ক্যানার,  ক্যামেরা দিচ্ছে। ভবিষ্যতে এগুলো আরও আসতে থাকবে, ইনশাআল্লাহ। আশা করি, পুরো নিবন্ধন কার্যক্রমে তারা সহায়তা দেবে।’

সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে সহায়তার জন্য তাদের নিড অ্যাসেসমেন্ট টিম আসছে। তারা যে একটা সহায়তা দেবে, সেটা আমরা বুঝতে পারছি। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অনেক কিছু লাগে।’

এ এম এম নাসির উদ্দিন আরও বলেন, ‘ভোটার তালিকা নিয়ে সন্দেহ দূর করতে আমরা কাজ করছি। ছয় মাসের মধ্যে হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ করার চেষ্টা করব। ভোটার প্রবৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ। ৬৫ হাজার লোকবল কাজ করবে। হিউজ প্রোগ্রাম নিয়েছি, যাতে নির্দিষ্ট সময়ের শেষ করতে পারি। সাভারে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন হবে।’