কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী, রাজীবপুর এবং সদর উপজেলার শতাধিক চর ও দ্বীপচরের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে পাট, সবজি, কলাসহ আমন বীজতলা। এসব এলাকার কাঁচা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগব্যবস্থা।
সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য এরশাদুল আলম জানান, বন্যার পানি নামতে না নামতেই আবারও বন্যার পানি বাড়িঘরে ঢুকে পড়েছে। এ অবস্থায় ছেলেমেয়ে ও গবাদি পশু নিয়ে মানুষজন আবারও দুর্ভোগে পড়েছে।
উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউপির চেয়ারম্যান বি এম আবুল হোসেন জানান, গতকাল থেকে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারও চরাঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও বন্যা দেখা দেওয়ায় বন্যাকবলিত মানুষজন দুর্ভোগে পড়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার, তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার, দুধকুমারের পানি নুন খাওয়া পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।