হলি আর্টিজান, শোলাকিয়া থেকে বের হতে পারিনি : কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হলি আর্টিজান, শোলাকিয়া, কল্যাণপুর, আশকোনা থেকে বেরোতে পারিনি। আজও আশকোনায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করেছে। আজকেরটা আরো ভয়াবহ।’
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আজ শুক্রবার বিকেলে বাঙালি সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এসবের মূল কারণ সাম্প্রদায়িক অপশক্তি। এ অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। পরাজিত করতে হবে এবং বিজয়ী হতে হবে। জাতির জনকের জন্মদিবসে এই হোক আমাদের প্রতিজ্ঞা। এরা কিছুদিন হামলা চালিয়ে আড়ালে চলে যায়। আবার আসে, আবার হামলা করে। আজকে আবার আত্মঘাতী হামলা করার উদ্দেশে ফিরে এসেছে।’
বিএনপিকে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক আখ্যা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখানে যেসব হামলা হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উত্থানে তথা বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি। এ কারণে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সব অভিযানে তারা অন্তর্জ্বালায় ভুগছে। তার পরও বলি, যথাসময়ে নির্বাচন হবে, নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করে ইতিবাচক চিন্তা নিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। নির্বাচনের অধিকার আপনাদেরও আছে।’
এ সময় টিভি ও বেতারের শিল্পীদের সম্মানী নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘বেতার, টেলিভিশনে কিংবা নাটকে অভিনয়, আবৃত্তি করে তারা যা পায় তা দিয়ে রিকশা ভাড়াই হয় না। নামমাত্র সম্মানী। এই সম্মানী তাদের সম্মানকে তিরস্কার করে। আমি মনে করি, এই মানসিকতা থেকে আমাদের বেরোতে হবে।’
‘তবে কিছু কিছু কর্মী ক্ষমতার দাপট দেখায়। তারা টিভিতে দাপট দেখায়, বেতারে দেখায়, এই দাপট দেখানো বন্ধ করতে হবে। সংস্কৃতিচর্চার নামে দোকান বন্ধ করতে হবে। ব্যাঙের ছাতার মতো দোকান। এই দোকান বন্ধ করতে হবে। এ রকম আমাদের দলের নাম নিয়েও করা হচ্ছে। আজ টুঙ্গিপাড়া থেকে ফেরার পথে দেখলাম আওয়ামী প্রচার লীগ। আওয়ামী লীগে এত বড় একটা প্রচার সেল থাকার পর এসবের দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। আওয়ামী তরুণ লীগ, প্রজন্ম লীগ, অভিভাবক লীগ এ রকম যে কত দোকান আছে তার হিসেব নেই’, যোগ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
সংগঠনের সভাপতি চয়ন ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন-অর-রশীদ, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মেহেরীন জাহান কবিতা। এ ছাড়া ছিলেন আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আজম বাসার।
আলোচনা শেষে সংগীতানুষ্ঠানে অংশ নেন দেশের প্রতিশ্রুতিশীল সংগীতশিল্পীরা।