সংলাপ যথেষ্ট নয়, সুপারিশও বিবেচনায় নিতে হবে
সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন যে সংলাপের আয়োজন করেছে, তা ভালো। কিন্তু এটাই যথেষ্ট নয়, সংলাপে আসা সুপারিশগুলো বিবেচনায় নিতে হবে বলে উল্লেখ করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মুজমদার।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবকদের অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায় এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বদিউল আলম এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনের সংলাপকে স্বাগত জানিয়ে সুজন সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সংলাপ মানে আলাপ-আলোচনা। আলোচনার মাধ্যমে যদি সমস্যার সমাধান হয়, সেটাই ভালো। নির্বাচন কমিশনকে স্বাগত জানাই তারা আলাপ-আলোচনা করছে। তারা রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের বক্তব্য শুনছে।’
‘আমি আশা করি, সংলাপের মধ্য দিয়ে যে সুপারিশ আসবে, সেগুলো তারা বিবেচনা করবে। এবং এগুলো বিবেচনায় নিয়ে আইনকানুন ও বিধিবিধানে যে ধরনের পরিবর্তন আনা দরকার, সেগুলো তারা করবে। নির্বাচনকে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা করার দরকার, নির্বাচন কমিশন তা করবে। তাহলেই সংলাপ সফল হবে।’
নির্বাচনে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে বদিউল আলম আরো বলেন, ‘সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচনের সময় যাতে নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করে এবং নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে। আর নির্বাচন কমিশনকে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির পথ নিশ্চিত করতে হবে। কারো প্রতি যেন বৈষম্য করা না হয়, কেউ যেন সমান সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়। সেটি করলেই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু হওয়ার পথ নিশ্চিত হবে।’
এ সময় মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও কথা বলেন সুজন সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা আসায় বাংলাদেশের জন্য বিরাট সংকট সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত সমাধান না হলে অর্থনৈতিক চাপ বাড়বে এবং নিরাপত্তা জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
স্বেচ্ছাসেবকদের অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন দি হাঙ্গার প্রজেক্টের ইউএসএ এবং বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা ও স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।