কুড়িগ্রামে ‘শেখ হাসিনা ধরলা সেতু’ উদ্বোধন কাল
দেশের উত্তরাঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়ক-সেতু ‘শেখ হাসিনা ধরলা সেতু’ আগামীকাল রোববার উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১০টায় তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুর উদ্বোধনের পর তা সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
এ উপলক্ষে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় সেতুটির পূর্বপাড়ে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এলাকায় বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। নির্মাণ করা হয়েছে মঞ্চ ও প্যান্ডেল। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্থানীয় জনসাধারণের সঙ্গে কথা বলে শেষে উদ্বোধন ঘোষণা করবেন এই সেতু।
কুড়িগ্রাম এলজিইডির তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ দেশীয় অর্থ ও প্রযুক্তিতে এই গার্ডার-সেতুটি নির্মিত হয়েছে। ১৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯৫০ মিটার দীর্ঘ এই সেতুটি উত্তরাঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়ক-সেতু।
সেতুটি উত্তর ধরলার তিনটি ইউনিয়নসহ কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। এর ফলে সুবিধা পাবেন এই অঞ্চলের কমপক্ষে ২০ লাখ মানুষ।
এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সেতুটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। এটি নির্মাণ করেছে- সিমপ্লেক্স ও নাভানা কনস্ট্রাকশন গ্রুপ।
৯৫০ মিটার দীর্ঘ ও ৯ দশমিক ৮০ মিটার চওড়া সেতুটির ১৯টি স্প্যান ও ৯৫টি গার্ডার রয়েছে। দৈর্ঘ্যে বঙ্গবন্ধু সেতুর পরই এই সেতুর অবস্থান বলে নির্মাণকারী সংস্থা এলজিইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এলজিইডি সূত্রে আরো জানা গেছে, মূল সেতুর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৩১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। ফুলবাড়ী ও লালমনিরহাট অংশে ২ হাজার ৯১৯ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ বাবদ ১৩ কোটি ৯ লাখ টাকা, ৩ হাজার ৪৮০ মিটার নদী শাসনে ৪৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ও ১৩ একর জমি অধিগ্রহণে ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
সেতুটির উদ্বোধন উপলক্ষে শনিবার সকালে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন- কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুল আলম, যুগ্ম-সচিব রইচ উদ্দিন, পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাফর আলী প্রমুখ।