সাত খুনের মামলার তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে : মহাপরিদর্শক
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহিদুল হক বলেছেন, ‘নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের মামলার তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আমরা আশা করি, অল্পদিনের ভেতরেই অভিযোগপত্র দাখিল করতে সক্ষম হব।’
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইনে জেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সমন্বয়ে সুধী সমাবেশে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশের প্রধান কর্মকর্তা এসব কথা বলেন। সমাবেশের আগে তিনি পুলিশ ব্যারাকে নির্মিত ছয়তলা ভবনের উদ্বোধন করেন।
এ কে এম শহিদুল হক বলেন, ‘যেগুলো চাঞ্চল্যকর ঘটনা, সে মামলাগুলো আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে তদন্ত করে থাকি। যাতে তদন্তে কোনো ত্রুটি না থাকে। কোনো সাক্ষী যেন বাদ না পড়ে। কোনোরকম ফাঁক যেন না থাকে। যাতে ওই কারণে আসামিরা সুবিধা পায়। এজন্য আমাদের একটু সময় নিতে হয় এবং সবদিক ঠিক করে যখনই একটি নিশ্ছিদ্র অভিযোগপত্র দাখিলের পরিবেশ তৈরি হয় তখন আমরা তা দিয়ে থাকি।’
সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনের ব্যাপারে মহাপরিদর্শক বলেন, ‘নূর হোসেনকে আমরা বার বার বিভিন্নভাবে পাশের দেশ ভারত সরকারের কাছে আমরা চেয়েছি। তাঁরা যখন যে ধরনের তথ্য চেয়েছে সে তথ্য আমরা দিয়েছি। এখন তাঁরা (ভারত) যখন দিবে তখনই আমরা তাকে নিয়ে আসব।’
‘কিন্তু মামলার অভিযোগপত্র দাখিলের জন্য নূর হোসেনকে নিয়ে আসা বাধ্যতামূলক (ম্যান্ডেটরি) না। কারণ অভিযোগপত্র দাখিলের জন্য যে পরিমাণ সাক্ষ্য-প্রমাণ দরকার সেগুলো যদি থাকে তাহলে পলাতক অবস্থায়ও কারো বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া যায়।’ যোগ করেন পুলিশপ্রধান।
ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এস এম মাহফুজুল নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক, সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান, সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা ও সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা বাবলী।অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ প্রশাসক আব্দুল হাই, জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান মিয়া, পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন ও কমিউনিটি পুলিশের সদস্যরা।