কুড়িগ্রামে ফের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আবারও অবনতি হয়েছে।
নতুন করে প্লাবিত হয়ে পড়ছে বন্যাকবলিত এলাকাগুলো। গত এক সপ্তাহ ধরে নদ-নদীর পানি হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার নিচে নামলেও গত মঙ্গলবার থেকে নতুন করে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে বন্যার পানি নেমে যেতে না যেতেই নতুন করে আবারও দ্বিতীয় দফা বন্যার কবলে পড়ায় বানভাসিদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। হাতে কাজ ও ঘরে খাবার না থাকায় চরম খাদ্য সংকটে পড়েছে চরাঞ্চলের বন্যাদুর্গত মানুষজন।
এদিকে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে পানিবাহিত রোগ। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চরাঞ্চলের চারণভূমি তলিয়ে থাকায় গবাদি পশুর খাদ্য সংকট চরম আকার ধারণ করেছে।
চলতি বন্যায় এ পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলার বন্যাকবলিত আট লক্ষাধিক মানুষের জন্য সরকারিভাবে এক হাজার মেট্রিক টন চাল, সাত হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে সামান্য ত্রাণ তৎপরতা শুরু হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
এ ছাড়া জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বিশেষ সভায় অগ্রগতি পর্যালোচনা করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানের নির্দেশে ৫০০ মেট্রিক টন জিআর চাল, ১০ লাখ টাকা, ৪০০ বান্ডিল ঢেউটিন, গৃহনির্মাণ বাবদ এক কোটি ২০ লাখ টাকা, দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, এক হাজার দুর্যোগ সহনীয় ঘর তৈরি এবং তিন মাসের জন্য ভিজিএফ চলমান রাখার বরাদ্দ দেওয়া হয়।