বাজেট
চামড়া শিল্পের স্থানান্তর সম্পন্ন হবে আগামী অর্থবছরে

সংসদে বাজেট ঘোষণায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, পরিবেশ দূষণ রোধে রাজধানীর হাজারীবাগসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা চামড়া শিল্পগুলোকে সাভারে পরিবেশবান্ধব স্থানে স্থানান্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এই স্থানান্তর আগামী অর্থবছরে সম্পন্ন হবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় সংসদে বাজেট প্রস্তাব ঘোষণা শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ সময় তিনি প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং এই বাজেটে নেওয়া বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাসোপযোগী পরিবেশ সৃজন এবং পরিবর্তিত জলবায়ুর বিরূপ প্রতিক্রিয়া প্রশমনে বন সম্প্রসারণ ও জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ৩৪টি বনকে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য দেশের অবক্ষয়িত বন, প্রান্তিক ভূমি এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমিতে ব্যাপকহারে বনায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও দারিদ্র্য বিমোচনের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে সামাজিক বনায়নকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
বাজেট ঘোষণায় অর্থমন্ত্রী বলেন, পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্পের প্রসারে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। গাজীপুরে আন্তর্জাতিক মানের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক এবং চট্টগ্রামে শেখ রাসেল অ্যাভিয়ারি অ্যান্ড ইকো পার্ক ইতিমধ্যে চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া, সিলেটে ইকোপার্ক প্রতিষ্ঠার জন্য একটি এলাকা নির্বাচন করা হয়েছে এবং অচিরেই সেখানে ইকোপার্ক চালু করা হবে। অনুমোদিত হয়েছে সুন্দরবন পর্যটন নীতিমালা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সৌরশক্তি, বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট, এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মতো পরিবেশবান্ধব পণ্য ও খাতগুলো অর্থায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একটি ঘূর্ণায়মান পুনরর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে। মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ঝুঁকি হ্রাস ও জ্বালানি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে দেশে প্রায় ২০ লাখ ধোঁয়ামুক্ত উন্নত চুলা স্থাপন করা হয়েছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় তিন কোটি পরিবেশবান্ধব চুলা স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
বাজেট ঘোষণায় অর্থমন্ত্রী বলেন, নদীর তীর ও রাস্তাঘাটের ভাঙনরোধে পরিবেশবান্ধব Jute geo-textiles উদ্ভাবনপূর্বক বাংলাদেশ ও ভারতে সফলভাবে Field Trial সম্পন্ন করা হয়েছে। আশা করা হয়, আগামী অর্থবছর হতে পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক বিভাগ, এলজিইডিসহ অন্যান্য বিভাগের ব্যাপক ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশের বিপর্যয় রোধ এবং পাট শিল্পের পুনরুজ্জীবন করা সম্ভব হবে।
বাজেট প্রস্তাবে বলা হয়, দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতা বাড়াতে ১৪টি উপকূলীয় জেলার ৭৮টি উপজেলায় ২০০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প শুরু হতে যাচ্ছে। অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি দুর্যোগ মোকাবিলায় একটি দক্ষ সাড়া প্রদান ব্যবস্থা ও প্রশিক্ষিত দুর্যোগ স্বেচ্ছাসেবক দল গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।