সিলেটের চৌহাট্টায় থমথমে পরিস্থিতি
সিলেট নগরের চৌহাট্টা এলাকায় বোমাসদৃশ বস্তুর সন্ধান পাওয়ার পর কেটে গেছে প্রায় সাত ঘণ্টা। এই বস্তু উদ্ধার করতে সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল দুপুর ২টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
এদিকে, ঘটনাস্থল ঘিরে রেখে এখনও বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ফলে বোমা আতঙ্কে সিলেট নগরের চৌহাট্টা এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চৌহাট্টা মোড়ের পূর্বদিকে যেখানে আগে পুলিশ চেকপোস্ট ছিল তার পাশেই রয়েছে একটি কালো রঙের পালসার মোটরসাইকেল (ঢাকা মেট্রো ১৪-৯২৭০)। এই মোটরসাইকেলেই লাগানো রয়েছে বোমাসদৃশ্য সন্দেহজনক ডিভাইস। পুলিশের ক্রাইসিস রেসপন্স টিমের (সিআরটি) সদস্যদের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে রয়েছেন র্যাবের অ্যাডভান্স টিমের সদস্যরা। তারা সতর্কতার সঙ্গে বোমাসদৃশ্য বস্তুটি পর্যবেক্ষণ করছেন।
এদিকে বোমাসদৃশ্য বস্তু পাওয়ার খবর জানাজানি হলে চৌহাট্টা এলাকা জুড়ে দেখা দেয় আতঙ্ক। ফার্মেসি ছাড়া আশপাশের দোকান বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতার ভিড় জমতে থাকে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের সরে যাওয়ার জন্য বার বার আহ্বান জানান। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জায়গাটিকে ক্রাইম সিনের ফিতা টেনে ঘিরে রাখেন। ওই মোটরসাইকেলটি (ঢাকা মেট্রো ১৪-৯২৭০) ট্রাফিক সার্জেন্ট চয়ন রাইডুর বলে জানা গেছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার বলেছেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে। সেনাবাহিনীর বোমা বিশেষজ্ঞরা অপসারণে কাজ শুরু করবে।’