জলাশয়ে আটকেপড়া কুমিরটি ১৭ দিন পর উদ্ধার
অবশেষে উদ্ধার হলো ফরিদপুর সদর উপজেলার জলাধারে আটকেপড়া মিঠা পানির কুমিরটি। উপজেলার সালাম খাঁর ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দারা গতকাল সোমবার বিকেলে কুমিরটিকে উদ্ধার করেন। গতকাল বৃষ্টি হওয়ায় কুমিরটি জলাধার থেকে পাড়ে উঠে এসেছিল। ওই সময় বিষয়টি টের পেয়ে এলাকাবাসী মাছ ধরার বড় জাল দিয়ে কুমিরটিকে উদ্ধার করেন। এর আগে কুমিরটিকে উদ্ধারের জন্য দুই দফা অভিযান চালিয়েও ব্যর্থ হয় বন্যপ্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।
বিরল প্রজাতির কুমিরটির আনুমানিক দৈর্ঘ্য সাড়ে সাত ফুট এবং ওজন প্রায় ৮০ কেজি বলে ধারণা করা হচ্ছে। আটকে পড়ার ১৭ দিন পর কুমিরটি উদ্ধার হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্কের অবসান হলো।
জানা গেছে, গত ২৪ জুলাই সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নে সালাম খাঁর ডাঙ্গী গ্রামে পদ্মা নদীসংলগ্ন ফালুর কুম নামে পরিচিত ওই জলাশয়ে আটকে পড়ে কুমিরটি। ওইদিন সকালে জলাধারটিতে কুমিরটিকে দেখতে পান এলাকার বাসিন্দারা। এরপর ওই এলাকায় মাইকিং করে জলাধারে না নামার জন্য সতর্ক করা হয়।
কুমিরটি উদ্ধারের জন্য গত ২৮ ও ৩০ জুলাই বন্যপ্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের উদ্যোগে দুই দফা অভিযান পরিচালিত হয়। কিন্তু প্রথম দফায় জাল ছোট থাকায় এবং দ্বিতীয় দফায় কুমিরটি জালে আটকা পড়লেও জাল ছিঁড়ে বের হওয়ায় সেটি আর ধরা সম্ভব হয়নি।
ফরিদপুর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা কবির হোসেন পাটোয়ারী জানান, এলাকাবাসীর হাতে কুমিরটি উদ্ধার হওয়ার খবর পেয়েছেন তিনি। কুমিরটির দায়িত্ব এখন বন্যপ্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের। তারাই পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।
বন্যপ্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের বিভাগীয় কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল জানান, কুমিরটি নিয়ে আসার জন্য ১০ সদস্যবিশিষ্ট একটি দল ফরিদপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। কুমিরটি মিঠা পানির এবং বিরল প্রজাতির। এটি গাজীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে রাখার জন্য প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে।