Skip to main content
NTV Online

মত-দ্বিমত

মত-দ্বিমত
  • অ ফ A
  • প্রতিক্রিয়া
  • সমসাময়িক
  • বহির্বিশ্ব
  • ব্যঙ্গ রঙ্গে
  • ফিরে দেখা
  • স্মরণ
  • বিদেশি কলাম
  • নগর দর্পণ
  • অতিথি কলাম
  • খেলাধুলা
  • পাঠকের কলাম
  • বিবিধ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
Follow
  • মত-দ্বিমত
ছবি

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এনটিভিতে উৎসবের আমেজ

জুলাই অভ‍্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি

রোমান্টিক শহরে মেহজাবীন

বিয়ের পিড়িতে জেফ বেজোস - লরেন সানচেজ

জন্মদিনে রুক্মিণী

মি. অ্যান্ড মিসেস মেসি

নিউইয়র্কে পারসা ইভানা

প্রকৃতির কোলে কৌশানী মুখার্জি

মিষ্টি হাসিতে সাবিলা নূর

মায়াবী চোখে কেয়া পায়েল

ভিডিও
আলোকপাত : পর্ব ৭৭৯
কনকা সেরা পরিবার, সিজন ০৩, গ্র্যান্ড ফিনালে
কনকা সেরা পরিবার, সিজন ০৩, গ্র্যান্ড ফিনালে
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫৪
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫৪
ছাত্রাবাঁশ : পর্ব ২০
ছাত্রাবাঁশ : পর্ব ২০
ছুটির দিনের গান : পর্ব ৪১৫ (সরাসরি)
ছুটির দিনের গান : পর্ব ৪১৫ (সরাসরি)
টেলিফিল্ম : কে কখন কোথায়
টেলিফিল্ম : কে কখন কোথায়
সংলাপ প্রতিদিন : পর্ব ২৭০
সংলাপ প্রতিদিন : পর্ব ২৭০
পবিত্র হজ্ব ২০২৫ (সরাসরি)
পবিত্র হজ্ব ২০২৫ (সরাসরি)
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮২
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮২
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ৩০৩
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ৩০৩
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
০০:০৮, ২৭ জানুয়ারি ২০১৭
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
০০:০৮, ২৭ জানুয়ারি ২০১৭
আপডেট: ০০:০৮, ২৭ জানুয়ারি ২০১৭
আরও খবর
সাদাসিধে কথা: আমার কেন আর দুর্ভাবনা নেই
সাদাসিধে কথা: প্রতিযোগিতা এবং সহযোগিতা

সাদাসিধে কথা

এই লেখাটি ছোটদের জন্য

মুহম্মদ জাফর ইকবাল
০০:০৮, ২৭ জানুয়ারি ২০১৭
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
০০:০৮, ২৭ জানুয়ারি ২০১৭
আপডেট: ০০:০৮, ২৭ জানুয়ারি ২০১৭

বড়রা এই লেখাটি পড়তে পারবেন না তা নয়। কিন্তু আমার ধারণা বড় মানুষরা— যাদের ছেলেমেয়েরা স্কুল-কলেজে পড়ে তারা এই লেখাটি পড়ে একটু বিরক্ত হতে পারেন।

কিভাবে কিভাবে জানি আমাদের দেশের লেখাপড়াটা হয়ে গেছে পরীক্ষানির্ভর। এই দেশে এখন লেখাপড়ার সঙ্গে শেখার কোনও সম্পর্ক নেই, পরীক্ষায় নম্বর পাওয়ার বিশাল একটা ব্যাপার। বাচ্চারা স্কুল কলেজে কিছু শিখল কিনা, সেটা নিয়ে বাবা-মায়ের কোনও মাথা ব্যথা নেই; পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেল কিনা কিংবা জিপিএ ফাইভ পেল কিনা, সেটা নিয়ে তাদের ঘুম নেই। পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাওয়াটা এমন একটা জায়গায় পৌঁছে গেছে সেজন্য মা-বাবারা রাত জেগে প্রশ্নপত্র ফাঁস হলো কিনা, তা ফেসবুকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। কোথাও যদি পেয়ে যান, তার সমাধান করিয়ে ছেলেমেয়েদের পেছনে লেগে থাকেন সেটা মুখস্থ করানোর জন্যে। পরীক্ষার হলে গিয়ে পরীক্ষার ঠিক আগে আগে বের হওয়া এমসিকিউ প্রশ্নগুলো নিজেদের স্মার্টফোনে নিয়ে এসে সেগুলো তাদের ছেলেমেয়েদের শেখাতে থাকেন।

এখানেই শেষ হয় না। এতকিছুর পরেও যদি পরীক্ষার ফলাফল ভালো না হয়, তাদের এমন ভাষায় গালাগাল আর অপমান করেন যে বাচ্চাগুলো গলায় দড়ি দেওয়ার কথা চিন্তা করে। আমাদের দেশে কিভাবে কিভাবে যেন এমন একটা ‘অভিভাবক প্রজন্ম’ তৈরি হয়েছে যারা সম্ভবত এই দেশের লেখাপড়ার জন্যে সবচেয়ে বড় একটা বাধা! কাজেই যদি এ রকম কোনও একজন অভিভাবক এই লেখাটি পড়া শুরু করেন, তার কাছে অনুরোধ— তিনি যেন শুধু শুধু আমার এই লেখাটি পড়ে সকাল বেলাতেই তার মেজাজটুকু খারাপ না করেন। তবে পড়া বন্ধ করার আগে সিঙ্গাপুরের একটা স্কুলের প্রিন্সিপালের অভিভাবকদের কাছে লেখা একটা চিঠি পড়ার জন্যে অনুরোধ করছি। চিঠিটা বাংলায় অনুবাদ করলে হবে এরকম—

প্রিয় অভিভাবকেরা,

আপনাদের ছেলেমেয়েদের পরীক্ষা কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হবে। আমি জানি, আপনাদের ছেলেমেয়েরা যেন পরীক্ষায় ভালো করে সেজন্য আপনারা নিশ্চয়ই খুব আশা করে আছেন।
কিন্তু একটা জিনিস মনে রাখবেন, যেসব শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে বসবে, তাদের মধ্যে নিশ্চয়ই একজন শিল্পী আছে যার গণিত শেখার কোনও দরকার নেই। একজন নিশ্চয়ই ভবিষ্যৎ উদ্যোক্তা আছে যার ইতিহাস কিংবা ইংরেজি সাহিত্যের প্রয়োজন নেই।

একজন সংগীত শিল্পী আছে যে রসায়নে কত নম্বর পেয়েছে তাতে কিছু আসে যায় না। একজন খেলোয়াড় আছে, তার শারীরিক দক্ষতা পদার্থ বিজ্ঞান থেকে বেশি জরুরি, উদাহরণ দেওয়ার জন্যে স্কুলিংয়ের কথা বলতে পারি।
যদি আপনার ছেলে বা মেয়ে পরীক্ষায় খুব ভালো নম্বর পায়, সেটা হবে খুবই চমত্কার। কিন্তু যদি না পায় তাহলে প্লিজ তাদের নিজেদের ওপর বিশ্বাস কিংবা সম্মানটুকু কেড়ে নেবেন না।

তাদের বলবেন, এটা নিয়ে যেন মাথা না ঘামায়, এটা তো একটা পরীক্ষা ছাড়া আর কিছু নয়। তাদেরকে জীবনে আরও অনেক বড় কিছুর জন্যে প্রস্তুত করা হচ্ছে।
তাদের বলেন, পরীক্ষায় তারা যত নম্বরই পাক, আপনি সবসময় তাদের ভালোবাসেন এবং কখনোই পরীক্ষার নম্বর দিয়ে তাদের বিচার করবেন না!

প্লিজ, এই কাজটা করেন। যখন এটা করবেন, দেখবেন আপনার সন্তান একদিন পৃথিবীটাকে জয় করবে। একটা পরীক্ষা কিংবা একটা পরীক্ষায় কম নম্বর কখনোই তাদের স্বপ্ন কিংবা মেধাকে কেড়ে নিতে পারবে না।
আরেকটা কথা। প্লিজ, মনে রাখবেন শুধু ডাক্তার আর ইঞ্জিনিয়াররাই এই পৃথিবীর একমাত্র সুখী মানুষ নয়।

অনেক শুভেচ্ছার সঙ্গে

প্রিন্সিপাল

(চিঠিটাতে স্কুলিং নামে একটা ছেলের কথা বলা হয়েছে। এই বাচ্চা ছেলেটি অলিম্পিকে সাঁতারে সোনার মেডেল পেয়েছিল!)
সিঙ্গাপুরের স্কুলের এই প্রিন্সিপালের চিঠিটা আসলে শুধু তার দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের জন্যে নয়, আমাদের দেশের অভিভাবকদের জন্যও সত্যি। আমরা ভুলে যাই কিংবা হয়তো জানিই না যে একজন শিশুর অনেক রকম বুদ্ধিমত্তা থাকতে পারে এবং তার মাঝে আমরা শুধু লেখাপড়ার বুদ্ধিমত্তাটাই যাচাই করি! এই লেখাপড়ার বুদ্ধিমত্তা ছাড়াও অন্য বুদ্ধিমত্তা দিয়ে যে একটি ছেলে-মেয়ে অনেক বড় হতে পারে, সেটা আমাদের বুঝতে হবে।
আমি অনেকদিন থেকে ছেলেমেয়েদের পড়িয়ে আসছি, যতই দিন যাচ্ছে ততই আমার কাছে স্পষ্ট হচ্ছে— পরীক্ষার ফলের সঙ্গে একজনের জীবনের সাফল্য-ব্যর্থতার কোনও সম্পর্ক নেই। আমার দেখা যে ছেলেটি বা মেয়েটি এই সমাজ দেশ কিংবা পৃথিবীকে সবচেয়ে বেশি দিয়েছে, সে পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে তা কিন্তু সত্যি নয়।

২.
আইনস্টাইন অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলেছেন। তার কথাগুলোর মধ্যে যে কথাটা আমার সবচেয়ে প্রিয় সেটি হচ্ছে— ‘কল্পনা করার শক্তি জ্ঞান থেকেও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ!’ আইনস্টাইন পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী ছিলেন। জ্ঞানের গুরুত্বটুকু যদি কেউ বুঝতে পারে সেটি বোঝার কথা তার মতো একজন বিজ্ঞানীর। কিন্তু এই মানুষটিই জ্ঞান থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন কল্পনাশক্তিকে। কারণটা কী?
সেটি বোঝার জন্যে আমাদের রকেট সায়েন্টিস্ট হতে হবে না, একটুখানি চিন্তা করলেই বোঝা যায়। আমরা যেটাকে জ্ঞান বলি সেটা আমরা চেষ্টা-চরিত্র করে পেয়ে যেতে পারি। যদি আমরা কিছু একটা না জানি, খুঁজে-পেতে কিছু বই ঘাঁটাঘাঁটি করে, জার্নাল পেপার পড়ে, অন্যদের সঙ্গে কথা বলে আমরা সেগুলো জেনে যেতে পারি। সোজা কথায় জ্ঞান অর্জন করতে পারি, সেটা অর্জন করতে চাই কিনা কিংবা তার জন্য পরিশ্রম করতে রাজি আছি কিনা সেটা হচ্ছে একমাত্র প্রশ্ন।

কিন্তু যদি আমাদের কল্পনাশক্তি না থাকে তাহলে কি আমরা চেষ্টা-চরিত্র করে, খাটাখাটুনি করে সেই কল্পনাশক্তি অর্জন করতে পারব?

পারব না। শত মাথা কুটলেও আমরা কল্পনাশক্তি বাড়াতে পারব না। এটা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ যখন একটা শিশু জন্ম নেয় তার ভেতরে অন্য সবকিছুর সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ কল্পনাশক্তি থাকে। আমাদের কাজ খুব সহজ, সেই কল্পনাশক্তিটুকু বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আর কিছু নয়।

আমরা মোটেও সেটা করি না। শুধু যে করি না তা নয়, সেটাকে যত্ন করে নষ্ট করি। আমি লিখে দিতে পারি, এই দেশের অনেক অভিভাবক মনে করেন যে ভালো লেখাপড়া মানে হচ্ছে ভালো মুখস্থ করা! সবাই নিশ্চয়ই এটা লক্ষ করেছে যে অনেক ছেলেমেয়েকে বই নিয়ে পড়তে বসার কথা বললে তারা চোখ বন্ধ করে মুখস্থ করা শুরু করে। আমি নিজের চোখে পত্রিকায় একটা স্কুলের বিজ্ঞাপন দেখেছি যেখানে বড় বড় করে লেখা আছে, ‘এখানে মুখস্থ করানোর সুবন্দোবস্ত আছে!’ আমার মনে হয় আমি যদি দেখতাম সেখানে লেখা আছে ‘এখানে মাস্তানি শেখার সুবন্দোবস্ত আছে’, তাহলেও আমি কম আতঙ্কিত হতাম।

যে কেউ ইচ্ছে করলে আমার কথাটা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। যে বাচ্চা স্কুলে যেতে শুরু করেনি, যাকে এখনও লেখাপড়া শুরু করানো হয়নি, তাকে যেকোনও বিষয় নিয়ে প্রশ্ন শুরু করলে নিজের মতো করে উত্তর দিয়ে দেবে। একটু চেষ্টা করলেই তার ভেতর থেকে কাল্পনিক বিষয় বের করে নিয়ে আসা যায়। ছোট একটা কাপড়ের পুতুলকে ‘বউ’ হিসেবে কল্পনা করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দেবে সে। এক টুকরো লাঠিকে একটা ‘গাড়ি’ হিসেবে কল্পনা করে ছোট্ট শিশু সারাবাড়ি ছুটে বেড়াবে। কিন্তু সেই শিশুটি যখন ভালো স্কুলে লেখাপড়া করবে, অভিভাবকেরা উপদেশ দেবে, প্রাইভেট টিউটর তাকে জটিল বিষয় শিখিয়ে দেবে, কোচিং সেন্টার মডেল পরীক্ষার পর মডেল পরীক্ষা নিয়ে তাকে প্রস্তুত করে দেবে; তখন আমরা আবিষ্কার করব— সে যে জিনিসগুলো শিখেছে তার বাইরের একটা প্রশ্নের উত্তরও দিতে পারে না। বানিয়ে কিছু লিখতে পারে না, কল্পনা করতে পারে না। একটা আস্ত মানুষকে আমরা পুরোপুরি রোবট বানিয়ে ফেলি।

একজন শিশুর কল্পনাশক্তিকে বাঁচিয়ে রাখা অনেকটা তার মস্তিষ্ককে অক্ষত রাখার মতো। যে শিশুটা অনেক কিছু শিখেছে কিন্তু মস্তিষ্কের সর্বনাশ করে ফেলেছে, তার কাছে আমরা খুব বেশি কিছু চাইতে পারব না। তার তুলনায় যে বিশেষ কিছু শেখেনি কিন্তু মস্তিষ্কটা পুরোপুরি সজীব আছে, সৃষ্টিশীল আছে; তার কাছে আমরা অনেক কিছু আশা করতে পারি।

মনে আছে, একবার কোনও এক জায়গায় বেড়াতে এসেছি এবং একটা শিশু আমাকে দেখে ছুটে এসে আমার সঙ্গে রাজ্যের গল্প জুড়ে দিয়েছে। আমি এক ধরনের মুগ্ধ বিস্ময় নিয়ে আবিষ্কার করলাম, এইটুকুন একটা শিশু, কিন্তু সে কত কিছু জানে এবং আরও জানার জন্য আমার কাছে তার কত রকম প্রশ্ন, আমি উত্তর দিয়ে শেষ করতে পারি না।

কিছুক্ষণ পর তার মায়ের সঙ্গে দেখা হলো। মা মুখ ভার করে আমার কাছে অভিযোগ করে বললেন, আমার এই ছেলেটা মোটে লেখাপড়া করতে চায় না, দিনরাত গল্পের বই পড়ে। আপনি প্লিজ তাকে একটু উপদেশ দিয়ে দেবেন যেন সে একটুখানি লেখাপড়া করে।

আমি তার মাকে বললাম, ‘ক্লাস এইটে ওঠার আগে কোনও লেখাপড়া নেই। সে এখন যা করছে তাকে সেটাই করতে দিন। কারণ সে একেবারে ঠিক জিনিসটা করছে।’ তারপর ছেলেটিকে ফিসফিস করে বললাম, ‘তুমি তোমার স্কুলে গিয়ে তোমার সব বন্ধু-বান্ধবকে আমার কথা বলবে যে আমি বলেছি ক্লাস এইটের আগে কোনও লেখাপড়া নেই। এখন যা মন চায় তাই করো। গল্পের বই পড়ো, ছবি আঁকো, ক্রিকেট খেলো।’

আমার কথা শুনে মা বেচারির হার্টফেল করার অবস্থা। আমি জানি এই ছোট ছেলেটিকেও এক সময় স্কুল, শিক্ষক, অভিভাবক, প্রাইভেট টিউটর আর কোচিং সেন্টার মিলে সাইজ করে ফেলবে। তারপরেও আমি আশা করে থাকি এই ছোট কাজগুলো হয়তো তাদের অসম্ভব প্রাণশক্তি, স্বপ্ন আর কল্পনার শক্তিতে টিকে থাকবে। তাদের কেউ কেউ হয়তো রোবট নয়, সত্যিকার মানুষ হয়ে বড় হবে।

মস্তিষ্ককে বাঁচিয়ে রাখা বা কল্পনা করার ক্ষমতাকে ধরে রাখার একটা খুব সহজ উপায় আছে। সেটা হচ্ছে বই পড়া। সারা পৃথিবীই এখন খুব দুঃসময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। ইন্টারনেট, ফেসবুক এই সব প্রযুক্তির কারণে আমাদের শিশুরা বই পড়ার জগত থেকে সরে আসতে শুরু করেছে। আগে পৃথিবীর সব শিশু মাথা গুঁজে বই পড়ত, তাদের চোখের সামনে থাকতো ছোট একটি বই। কিন্তু তাদের মাথার ভেতরে উন্মুক্ত হতো কল্পনার বিশাল একটি জগত। এখন এই শিশুদের চোখের সামনে থাকে কম্পিউটার কিংবা ট্যাবের স্ক্রিন। সেখানে তারা দেখে চকমকে ছবি, কিংবা ভিডিও কিংবা চোখ ধাঁধানো গ্রাফিক্সের কম্পিউটার গেম। তাদের মাথার ভেতরেও থাকে সেই একই ছবি, ভিডিও কিংবা একই গ্রাফিক্স। কল্পনার বিশাল একটা জগত আর উন্মুক্ত হয় না। কী দুঃখের একটা ব্যাপার!

আমি জানি আজ হোক, কাল হোক পৃথিবীর সব বড় বড় জ্ঞানী-গুণী মানুষেরা বলবেন, ছোট ছোট শিশুদের ইন্টারনেট, কম্পিউটার, গেম আর ফেসবুকের জগতে পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়ার কাজটা একেবারে ঠিক হয়নি। তাদেরকে আরও অনেক অনেক বেশি বই পড়তে দেওয়া উচিত ছিল।

বইমেলা আসছে। আমি সব অভিভাবকদের বলব, শিশুর হাত ধরে তাকে বইমেলায় নিয়ে আসুন। তাকে কয়েকটা বই কিনে দিন। একটা ছোট শিশুকে যদি একটিবার বই পড়ার অভ্যাস করিয়ে দিতে পারেন, তাহলে আপনি সারাজীবনের জন্যে নিশ্চিন্ত হয়ে যাবেন।
ছেলেমেয়ে মানুষ করার এত সহজ উপায় থাকতে আমরা কেন তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুর্ভাবনা করি?

লেখক: কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

সাদাসিধে কথা

পাঠকের পছন্দ

গরমে ঘামাচিতে জেরবার?

ভ্রমণের সময় যা মনে রাখবেন

কীভাবে হবেন ভালো সহকর্মী?

সর্বাধিক পঠিত
  1. ছেলের ধর্ম ‘ফাঁকা’ রাখলেন ‘টুয়েলভথ ফেল’ অভিনেতা, কারণ...
  2. ফ্লপের ধুলো ঝেড়ে ৭ বছর পর হিট দিলেন আমির
  3. বিবাহবিচ্ছেদের গুজব আর নয়, স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন অভিষেক
  4. বাবু ভাইয়া থাকছেন, জলঘোলা শেষে ‘হেরা ফেরি থ্রি’তে পরেশ রাওয়াল
  5. মা হচ্ছেন সোনাক্ষী? এবার মুখ খুললেন অভিনেত্রী নিজেই
  6. সাধারণ মানুষের জন্য সিনেমা দেখা এখন বিলাসিতা : আমির খান
সর্বাধিক পঠিত

ছেলের ধর্ম ‘ফাঁকা’ রাখলেন ‘টুয়েলভথ ফেল’ অভিনেতা, কারণ...

ফ্লপের ধুলো ঝেড়ে ৭ বছর পর হিট দিলেন আমির

বিবাহবিচ্ছেদের গুজব আর নয়, স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন অভিষেক

বাবু ভাইয়া থাকছেন, জলঘোলা শেষে ‘হেরা ফেরি থ্রি’তে পরেশ রাওয়াল

মা হচ্ছেন সোনাক্ষী? এবার মুখ খুললেন অভিনেত্রী নিজেই

ভিডিও
টেলিফিল্ম : কে কখন কোথায়
টেলিফিল্ম : কে কখন কোথায়
আলোকপাত : পর্ব ৭৭৯
নাটক : সত্য বলা মহাপাপ
নাটক : সত্য বলা মহাপাপ
গানের বাজার, পর্ব ২৩৮
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ৩০৩
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ৩০৩
ছাত্রাবাঁশ : পর্ব ২০
ছাত্রাবাঁশ : পর্ব ২০
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫৪
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫৪
রাতের আড্ডা : পর্ব ০৯
পবিত্র হজ্ব ২০২৫ (সরাসরি)
পবিত্র হজ্ব ২০২৫ (সরাসরি)
কনকা সেরা পরিবার, সিজন ০৩, গ্র্যান্ড ফিনালে
কনকা সেরা পরিবার, সিজন ০৩, গ্র্যান্ড ফিনালে

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Browse by Category

  • About NTV
  • Career
  • NTV Programmes
  • Advertisement
  • Web Mail
  • NTV FTP
  • Satellite Downlink
  • Europe Subscription
  • USA Subscription
  • Privacy Policy
  • Terms & Conditions
  • Contact
  • Archive

NTV Prime Android App

Find out more about our NTV: Latest Bangla News, Infotainment, Online & Live TV

Qries

Reproduction of any content, news or article published on this website is strictly prohibited. All rights reserved

x