বিখ্যাতদের মজার ঘটনা
লিঙ্কনের জুতা পালিশ

আলেকজান্ডার ফ্লেমিং
ব্রেকফাস্ট
পেনিসিলিনের আবিষ্কারক আলেকজান্ডার ফ্লেমিং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালীন একদিন নিউইয়র্কের বালটিমোর হোটেলে প্রাতরাশ সারতে যাচ্ছিলেন। পথে কয়েকজন সাংবাদিক তার পথ আগলে দাঁড়াল। বলল, ‘মিস্টার ফ্লেমিং, আপনি একজন বিখ্যাত আবিষ্কারক। দয়া করে বলবেন কি, এ মুহূর্তে আপনি ঠিক কী ভাবছেন?’ রসিক ফ্লেমিং বললেন, ‘আপনারা খুব ভালো একটি প্রশ্ন করেছেন। আমি এ মুহূর্তে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে ভাবছিলাম।’ সাংবাদিকরা তাঁর বক্তব্য নোট করার জন্য উৎসাহভরে কাগজ-কলম বের করে বললেন, ‘ঠিক আছে। আপনি বলুন। আমরা নোট করে নিচ্ছি।’ ফ্লেমিং বললেন, ‘আমি ভাবছিলাম, ব্রেকফাস্টে কটা ডিম খাব? একটি নাকি দুটি!’
আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল
শেয়ার
টেলিফোন আবিষ্কারক স্যার আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল তাঁর এই যুগান্তকারী আবিষ্কারটিকে বাণিজ্যিকভাবে কাজে লাগাতে চাইলেন। সে জন্য তিনি এক কোম্পানি খুললেন। সে সময় অনেক বিখ্যাত ও ধনী ব্যক্তিকে গিয়ে বললেন, তাঁর কোম্পানির শেয়ার কিনতে। সেই শেয়ারের দাম ছিল তখনকার সময়ে ১০০ ডলার। একদিন বেল সাহেব মার্ক টোয়েনের কাছে এসে অনুরোধ করলেন, তিনি যেন তাঁর এই টেলিফোন কোম্পানির একটা শেয়ার কেনেন। বেল আরো আশ্বাস দিলেন, যারা এই শেয়ার কিনবে, তারা কিছুদিনের মধ্যেই বড়লোক হয়ে যাবে। কিন্তু বেলের কথায় টোয়েন মোটেও আগ্রহী হলেন না। তিনি বেলকে ১০০ ডলার না দিয়ে তাঁর এক প্রকাশক বন্ধুকে ১০০ ডলার ধার দিলেন। কিছুদিনের মধ্যে বেলের কোম্পানির শেয়ারের দাম হয়ে গেল কয়েক গুণ বেশি। আর মার্ক টোয়েনের প্রকাশক বন্ধুটি দেউলিয়া হয়ে গেল। মার্ক টোয়েন পরে আফসোস করেছিলেন এই বলে, বেলের চেহারা দেখে তিনি বিভ্রান্ত হয়েছিলেন।
সীমা
টেলিফোনের আবিষ্কারক আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলের চাকর তাঁর অনুপস্থিতিতে একবার পৃথিবীর প্রথম ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি রেগে গিয়ে তাঁর এক মাসের বেতন কেটে দেন। চাকর জানতে চায় বেতন কাটার কারণ, আমার অপরাধ স্যার?
— তুমি সীমা অতিক্রম করেছ।
— কিসের সীমা?
— কথা বলার সীমা।
আব্রাহাম লিঙ্কন
সুযোগ
নিজের ছেলেকে সেনাবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত করার জন্য এক নারী একবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনের কাছে গিয়ে বললেন, ‘এটা আমার দাবি, এ পদটা আমার ছেলের প্রাপ্য। আমার দাদা কেসিংটনে যুদ্ধ করেছেন, আমার চাচা বাডেনসবার্গ যুদ্ধের মাঠ থেকে পালিয়ে যাননি, আমার দাদা নিউ অরলিয়ান্সে যুদ্ধ করেছেন আর আমার স্বামী তো মন্টেগিরি যুদ্ধে মারাই গেলেন।’ ভদ্রমহিলার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনে লিংকন বললেন, ‘ম্যাডাম, আমার ধারণা আপনার পুরো পরিবার দেশের জন্য অনেক করেছে। এবার অন্যদের একটু সুযোগ দেওয়া উচিত।
বসন্ত
মার্কিন মুলুকের সবচেয়ে সফল প্রেসিডেন্ট লিঙ্কনের একবার জলবসন্ত হলো। সংক্রমণের ভয়ে কেউ আর তাঁর কাছে আসে না। লিঙ্কন তখন একদিন দুঃখ করে বললেন, এ ভারি অন্যায়। যখন আমি সবাইকে কিছু দিতে চাই, তখন কেউ আমার কাছে আসছে না।
মানুষের পা
লিঙ্কনের বন্ধুরা তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ডগলাসের বিশেষ শারীরিক গড়ন নিয়ে আলাপ করছিলেন। ডগলাস তাঁর প্রায় সাড়ে ছয় ফুট উচ্চতা নিয়ে গর্বিত ছিলেন। কথা প্রসঙ্গে কথা উঠল, মানুষের পা আসলে কত বড় হওয়া উচিত? লিঙ্কনকে প্রশ্ন করতেই তিনি বললেন, আমার মনে হয় শরীর থেকে মাটিতে পৌঁছাতে যতটা দরকার, মানুষের পা ঠিক ততটাই লম্বা হওয়া উচিত।
জুতা পালিশ
আমেরিকান সিভিল ওয়ারের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোয়াইট হাউসে গিয়ে প্রেসিডেন্ট লিঙ্কনকে জুতা পালিশ করতে দেখে খুব অবাক হলেন। বললেন, স্যার, আমাদের দেশে কোনো ভদ্রলোক নিজের জুতা পালিশ করেন না।
লিঙ্কন তাঁর স্বভাবসুলভ বাকপটুতার সঙ্গে পাল্টা প্রশ্ন করে জানতে চাইলেন, তাহলে কার জুতা পালিশ করেন তাঁরা?