কোরবানির পশুর হাটে যাওয়ার উত্তম প্রস্তুতি!

রোজার ঈদে সাধারণত শপিং মলগুলো খুব হিট করলেও, কোরবানির ঈদে কোরবানির পশুর হাট অনায়াসে সুপার হিট অবস্থান গড়ে নেয়। তবে হ্যাঁ, কোরবানির পশুর হাটে যাওয়ার কিছুটা প্রস্তুতি থাকাটা খুবই জরুরি হয়ে পড়ে। আর তাই কোরবানির পশুর হাটে যেতে উত্তম প্রস্তুতির ব্যাপারে সার্বিক পরামর্শ আমরাই দেব আপনাকে। তাহলে চলুন কোরবানির পশুর হাটে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েই বের হই!
ব্যাটসম্যানদের মতো প্রস্তুতি নিন
দেখুন ব্যাট, গ্লাভস, হেলমেট পরবেন শুধু সাবধানতা অবলম্বনের জন্য! কেননা কোরবানির পশুর হাটে এমনও কিছু ভদ্র গরুর দেখা মিলবে, যাদের প্রতি কোনো বিশ্বাস নেই বললেই চলে! যেকোনো মুহূর্তে ছুটে গিয়ে সব কিছু লণ্ড-ভণ্ড করে ফেলতে পারে। আর তার ঠুসা না খাইতেই এবং মূলত সেফটির জন্যই এসব পরে নেবেন।
টাকা রাখুন সাবধানে
আপনারা কোরবানির পশু কিনতে যাচ্ছেন, এই খবরটি যত কম মানুষের কাছে লিক হবে ততই ভালো। কেননা বাতাসে তখন ছিনতাইকারীদের কান উড়ে বেড়ায়, যদি কোনো ছিনতাইকারী জানতে পারে, আপনি বা আপনারা গরু কিনতে বেশ কিছু টাকা নিয়ে বের হয়েছেন, অমনি কিন্তু ওরা আপনার টাকার মালিকানা নিতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে থাকবে, তাই আগে থেকেই সাবধান হোন!
অতিরিক্ত দড়ি বা রশিও নেবেন
এটা কেন নিতে বলছি, সেটা কোরবানির পশু হিসেবে গরু কেনেন বা যাই কেনেন না কেন, তা বাড়িতে আনার সময় নানা রকমের টাল-বাহানার সাক্ষী হতে হবে। এমনকি ওদের গলায় থাকা রশিও ছিঁড়ে ছুটে যাওয়ার নজির এর আগেও অসংখ্যবার দেখা গেছে বলেই এমনটা করতে বলা।
ঠান্ডা কদুর তেল সঙ্গে নিন
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা পয়েন্ট হলো, কোরবানির পশু কিনতে গেলে অবশ্যই ঠান্ডা কদুর তেল সঙ্গে নিতে ভুলবেন না, কেননা যখনই আপনাদের জন্য কোরবানির পশু কিনতে দামাদামি করবেন, তখনই ওরা এমন দাম চেয়ে বসবে, যাতে মাথা গরম না হয়ে উপায় থাকে না। আর তাই তো বলছি, তখনই মাথায় ঠান্ডা তেল প্রয়োগ করে নিজেকে এবং নিজের মাথাকে ঠান্ডা রাখুন।
বাম্বু বা লাঠিও বেশি নিতে পারেন
আমাদের মধ্যে যেমন ঘাড় ত্যাড়া স্বভাবের মানুষের অভাব নেই, তেমনিভাবে কিছু কোরবানির পশুও থাকে খুবই ঘাড় ত্যাড়া, যা বলা হবে তার উল্টোটা করবে, সেই সবের জন্যই বাম্বুর ব্যবস্থা রাখতে হবে, সেটা ভয় দেখানোর জন্য হলেও।
প্লাকার্ড নিতে একদমই ভুলবেন না
ও হ্যাঁ, কোরবানির পশু নিয়ে ফেরার পথে এটা খুবই কাজে দেবে আপনাকে, কেননা আসার সময় রাস্তার আশপাশে অসংখ্য লোকজন জিজ্ঞাসা করবে, ভাই দাম কত? কত টাকা দাম নিল ইত্যাদি রকমের প্রশ্ন। তাদের এসব প্রশ্নের উত্তর দিতেই প্লাকার্ডে বড় করে লিখে দেবেন, এই পশুর মূল্য এত টাকা। অবএব প্লাকার্ড দেখেই সবাই বুঝে যাবে দামটি, আর কেউই দাম জানতে চেয়ে বিরক্ত করবে না।
পেইন কিলার নিলেও মন্দ হবে না
পেইন কিলার নিন। কারণ হাটে মধ্যে হাঁটার সময় কোনো গরুর ঢুসা বা কোনো গরুর দাবড়ানি অথবা কোনো গরুর লাত্থি খাওয়াটা মোটেও অস্বাভাবিক নয়, আর যদি কি না অ্যাক্সিডেন্টলি এমন কিছু হয়েও যায়, তখনই একটা পেইন কিলার খেয়ে নিতে পারেন।
কিছু খড়-কুটার ব্যবস্থা করলেও বেশ হবে
অনেক সময় দেখা যায় কেনা পশুটি রাস্তায় মোটেও এগোতে চায় না, হয়তো বা কোনো কারণে আপনার ওপর মাইন্ড করে, যে কারণেই হতে পারে। আর তাই তো বলছি তখন ওই পশুকে খাইয়ে খাইয়ে মান ভাঙিয়ে তারপর নিয়ে আসুন ।
ফুলের মালা নিতে ভুলবেন না কিন্তু
অনেকেই দেখি বর্তমানে পশু কিনে ফেরার পথে সেই পশুকে জামাই আদর করে সাজিয়ে ফুলের মালা গলায় দিয়ে বরণ করে নিয়ে যায়। আর এই জন্য অবশ্যই ফুলের মালার জোগাড় করেই ফিরতে হবে।
অনলাইনে ক্লিক করুন
বর্তমানে সবচেয়ে সহজ এবং শর্টকাট সিস্টেম হলো, অনলাইনে ক্লিক করলেই গরু-ছাগল যা আপনার দরকার হবে, শুধু একটা ক্লিক করে দিলেই গরু চলে আসবে বাড়িতে। ওপরের এসব কিছুকে যদি খুব ঝামেলা মনে হয়, তবে আর কোনো কথা নেই অনলাইনে গিয়ে ছবি দেখে পছন্দমতো পশু ক্লিক করলেই বাসায় বসে পেয়ে যাবেন আপনার কাঙ্ক্ষিত পশুটি।