উত্থানেও লেনদেন শীর্ষে মন্দার দাপট
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (রোববার থেকে বৃহস্পতিবার) লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। আলোচিত সপ্তাহে শেয়ারবাজার মূলধনও বেড়েছে। প্রধান সূচক সিএএসপিআইয়ের হয়েছে উত্থান। টপটেন লেনদেনের ৬০ শতাংশ দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দখলে রয়েছে। দুর্বল কোম্পানিগুলো হলো- খান ব্রাদার্স, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, সেন্ট্রাল ফার্মা, ফু-ওয়াং সিরামিক, প্যাসিফিক ডেনিমস ও আরএন স্পিনিং।
স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্র মতে, গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৮২৯ কোটি ৪২ লাখ টাকায়। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৬৯ হাজার ২১ কোটি ৩ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৮০৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। আলোচিত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৮৩ কোটি ৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬০ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ২২ কোটি ৯০ লাখ টাকা। তালিকাভুক্ত ৩০৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৭৭টির, দর কমেছে ৫৪টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭৭টি কোম্পানির।
প্রধান সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে প্রধান সূচক সিএএসপিআই দশমিক ২৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৫৮৩ দশমিক ২২ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচক দশমিক ২৪ শতাংশ, সিএসই৩০ সূচক দশমিক শূন্য এক শতাংশ এবং সিএসআই সূচক দশমিক ৩২ শতাংশ করে করে বেড়েছে। এ ছাড়া সিএসই৫০ সূচক দশমিক শূন্য চার শতাংশ এবং সিএসই এসএমইএক্স সূচক দশমিক ৫৭ শতাংশ করে কমেছে।
গেল সপ্তাহে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৫০ ভাগ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। এ ছাড়া ‘এ’ ক্যাটাগরির ৪০ শতাংশ এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরি ১০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর টপটেন লেনদেনে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ‘বি’ ক্যাটাগরির খান ব্রাদার্সের শেয়ার। একাই আট কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলসের (‘এ’ ক্যাটাগরি) সাত কোটি ৮ লাখ টাকা, অলিম্পিক এক্সেসরিজের (‘বি’ ক্যাটাগরি) চার কোটি এক লাখ টাকা, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (‘এ’ ক্যাটাগরি) দুই কোটি ২৬ লাখ টাকা, জিএসপি ফাইন্যান্সের (‘এ’ ক্যাটাগরি) দুই কোটি ২৬ লাখ টাকা, ফু-ওয়াং সিরামিকের (‘বি’ ক্যাটাগরি) দুই কোটি ২০ লাখ টাকা, প্যাসিফিক ডেনিমসের (‘বি’ ক্যাটাগরি) দুই কোটি ৬ লাখ টাকা, সেন্ট্রাল ফার্মার (‘বি’ ক্যাটাগরি) ২ কোটি ৫ লাখ টাকা, ওরিয়ন ফার্মার (‘এ’ ক্যাটাগরি) এক কোটি ৯১ লাখ টাকা এবং আরএন স্পিনিংয়ের (‘জেড’ ক্যাটাগরি) এক কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।