বইমেলায় এখনও শোনা যাচ্ছে হাতুড়ির শব্দ

আজ থেকে শুরু হয়েছে অমর একুশে বইমেলা। মেলা উদ্বোধন পর এখনও চারপাশে শোনা যাচ্ছে হাতুড়ির ঠক ঠক শব্দ। অনেক স্টলে চলছে সাজ সজ্জার কাজ।
আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজিত বইমেলার উদ্বোধন করেন।
মঙ্গলবার বিকেলে মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, এখনও বিভিন্ন প্রকাশনীর স্টল বানানোর কাজ চলছে। কিছু স্টলে চলছে রং-তুলির কাজ। কয়েকটি স্টলের বাইরে চলছে রংয়ের কাজ আর ভেতরে চলছে বই সাজানোর কাজ। স্টল তৈরিতে দেরি হওয়া নিয়ে ব্যবস্থাপনাকে দূষছেন প্রকাশক ও বইপ্রেমীরা।
বইমেলায় আসা নওশাদ বলেন, মেলা উদ্বোধনের পর এখনও স্টলের সাজ সজ্জার কাজ চলছে। স্টল তৈরির জিনিসপত্রের জন্য ঠিকভাবে হাঁটাচলা করা যায় না। দেখতেও বেমানান লাগে।
আরেক বইপ্রেমী নুসরাত বলেন, বইমেলা শুরু হওয়ার আগেই উচিত সব স্টল বানানোর কাজ শেষ করা।
এ বিষয়ে সমগ্র প্রকাশনীর প্রকাশক শওকত আলী তারা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আমার স্টলের জন্য বরাদ্দকৃত জায়গায় গিয়ে দেখি অন্য স্টল বসেছে। কোনোভাবে এ জায়গাটা পেয়েছি। যারা স্টল তৈরিতে এক সপ্তাহ সময় পেয়েছে সেখানে আমি দুইদিন সময় পেয়েছি। এটি আসলে ব্যবস্থাপনার সমস্যা। অবশ্য বাংলা একাডেমিও কি করবে। তারাও দোটানায় ছিল মেলা হওয়া নিয়ে।
বইমেলার ২৪ নম্বর প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ পেয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ ও স্বনামধন্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ। প্রকাশনা সংস্থাটির স্বত্ত্বাধিকারী মো. জহিরুল আবেদীন জুয়েল মেলার সামগ্রিক প্রস্তুতি ও পরিবেশ নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আমাদের প্রস্তুতি শেষ। করোনা পরিস্থিতির কারণে মেলা হবে কী হবে না, এই নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলাম। তারপরও আমাদের নতুন ৪০টি বই এবারের মেলায় আসছে। যার প্রায় সবটাই প্রকাশিত হয়ে গেছে। তবে অনেক স্টল এখনও পুরোপুরি তৈরি হয়নি। আলোক স্বল্পতার অভাব রয়েছে। আশা করছি কম সময় হলেও এবারের মেলা লেখক-পাঠক-প্রকাশকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে।
এদিকে বইমেলার প্রথম দিন দেখা যায়নি বইমেলাকে ঘিরে বইপ্রেমীদের তেমন ভিড়। নতুন বই দিয়ে স্টল সাজানোয় এখনও ব্যস্ত বিভিন্ন প্রকাশনী সংস্থা। প্রকাশকরা বলছেন আজ প্রথম দিন তেমন ভিড় নেই। তবে গতবার থেকে উপস্থিতি ভালো লক্ষ্য করা যাচ্ছে।