আমি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
যেভাবে হলো ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’

অন্য দুই পর্বের মতো ‘দিবারাত্রির কাব্য’ ভাগটিও শুরু হয় কবিতা দিয়ে। এ পর্বের কবিতার মধ্য দিয়ে উপন্যাসের চূড়ান্ত দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। কবিতায় উল্লেখকৃত ‘শ্মশান’ শব্দটি রূপক অর্থে উপন্যাসের শেষে আনন্দের আগুনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করাকেই বুঝিয়েছে। এক ধরনের দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে উপন্যাসটি শেষ হয়েছে। শেষ ভাগে সুপ্রিয়া ও আনন্দ, অর্থাৎ ‘দিবা’ ও ‘রাত্রি’র আসা তারই প্রমাণ। এ ভাগের নামকরণটি রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। আত্মবিসর্জনের মধ্য দিয়ে আনন্দ অম্লান করে রাখতে চেয়েছে তার প্রেমকে।
এ উপন্যাসে ব্যবহৃত কবিতা প্রসঙ্গে মেয়ের জামাই যুগান্তর লিখেছে, “মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম কবিতা, তাঁর প্রথম উপন্যাসের ভূমিকা। ...খুবই যথার্থ অর্থে ভূমিকা, কারণ, ‘দিবারাত্রির কাব্য’র ভূমিকা-কবিতা সমগ্র উপন্যাসের অনিবার্য যুক্তির মতো উপস্থিত হয়। কিন্তু, বাংলা সমালোচনা-সাহিত্যের অবিশ্বাস্য কুসংস্কার প্রমাণ এই যে, ‘দিবারাত্রির কাব্য’র কবিতা তিনটিকে তুলনাহীন সরল বিশ্বাসে আজ পর্যন্ত শুধুমাত্র উপন্যাসের আনুষ্ঠানিক ভূমিকা হিসেবে মেনে নেওয়া হয়েছে। পৃথিবীর অন্য কোনো ভাষায় এই কবিতা তিনটি অন্তত হিসেবেও এত দিনে বিখ্যাত হত নিশ্চয়।”
এ উপন্যাসটির ভাষাগত দিকটি নিয়ে আলোচনা করেছেন কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হক। তিনি তাঁর ‘ভাষারীতি : মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়’ প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন, “একটু আশ্চর্যই লাগবে এই দেখে যে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু বাংলা গদ্যের বাইরের চেহারাটায় ভাঙচুর তেমন কিছুরই করেননি। বাইরের চেহারা বলতে বুঝছি শব্দ বাছাই, বাক্য তৈরি, বাক্যের মধ্যে শব্দগুলি বসানোর ক্রম, বাক্যাংশগুলির পারস্পরিক সংস্থান এবং সম্পর্কস্থাপন এইসব। ‘দিবারাত্রির কাব্য’ তিনি লিখেছিলেন একুশ বছর বয়সে, রচনা হিসেবে তাঁর প্রথম উপন্যাস, প্রকাশের দিক থেকে দ্বিতীয়। মানিকের প্রথম ছোটগল্প ‘অতসীমামী’তে শরৎচন্দ্রের ঝাঁজ বেশ জোরালো, হয়তো তাঁর সারাজীবনের সমস্ত লেখার মধ্যে এই একবারই, কিন্তু ‘দিবারাত্রির কাব্য’র আশপাশে কাউকে দেখা যায় না। ...বলতে কী মানিকের একুশ বছর বয়েসের গদ্যের তখন এই রকম চলন : সকাল সাতটার সময় রূপাইকুড়ার থানার সামনে হেরম্বের গাড়ি দাঁড়াল। ...পূর্ব আর পশ্চিমে কেবল প্রান্তর আর দিগন্ত। মাঝে মাঝে দু একটি গ্রামের সবুজ ছাপড়া বসানো আছে, বৈচিত্র্য শুধু এই। উঁচুতে কেবল পাহাড়। একটি দুটি নয় নৈবেদ্যের মতো অজস্র পাহাড় গায়ে গায়ে ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে, অতিক্রম করে যাওয়ার সাধ্য চোখের নেই, আকাশের সঙ্গে এমনি নিবিড় মিতালি। ...সাদামাঠা গদ্য ব্যবহার করে এমন অসম্ভব ফল মানিক পান এই কারণে যে বাংলা গদ্যকে তিনি পড়ে থাকা সাদামাটা গদ্য হিসেবে নয়, নিজের তৈরি হাতিয়ারে পরিণত করতে পেরেছেন এবং সেটা সম্ভব হয়েছে বাস্তব নিয়ে যে তীব্র চেতনা তাঁকে ক্রমাগত তাড়না করে, নিদারুণ যন্ত্রণা দেয়, সেই একই চেতনা তিনি ভাষার মধ্যে, তাঁর বাক্যগুলির ভিতরে স্থাপন করে তাদের বাস্তবের দিকে এগিয়ে দিতে পারেন।”
এই উপন্যাসের এক জায়গায় হেরম্ব চরিত্রের মধ্য দিয়েই যেন আমি আমার কবি-মানসিকতার কথা বলতে চেয়েছি। এই অংশটি তুলে ধরে অনেককেই তার প্রমাণ দিতে দেখি : “হেরম্বের বিশ্লেষণ-প্রবৃত্তি হঠাৎ একটা অভূতপূর্ব সত্য আবিষ্কার করে তাকে নিদারুণ আঘাত করে। কবির খাতা ছাড়া পৃথিবীর কোথাও যে কবিতা নেই, কবির জীবনে পর্যন্ত নয়, তার এই জ্ঞান পুরোনো। কিন্তু এই জ্ঞান আজও যে তার অভ্যাস হয়ে যায় নি, আজ হঠাৎ সেটা বোঝা গেছে। কাব্যকে অসুস্থ নার্ভের টঙ্কার বলে জেনেও আজ পর্যন্ত তার হৃদয়ের কাব্যপিপাসা অব্যাহত রয়ে গেছে, প্রকৃতির সঙ্গে তার কল্পনার যোগসূত্রটি আজও ছিঁড়ে যায় নি। রোমান্সে আজও তার অন্ধবিশ্বাস, আকুল উচ্ছ্বসিত হৃদয়াবেগ আজও তার কাছে হৃদয়ের শ্রেষ্ঠ পরিচয়, জ্যোৎস্না তার চোখের প্রিয়তম আলো। হৃদয়ের অন্ধ সত্য এতকাল তার মস্তিষ্কের নিশ্চিত সত্যের সঙ্গে লড়াই করেছে। তার ফলে, জীবনে কোনো দিক থেকে তার সামঞ্জস্য থাকে নি, একধার থেকে সে কেবল করে এসেছে ভুল। দু’টি বিরুদ্ধ সত্যের একটিতে সজ্ঞানে আর একটিকে অজ্ঞাতসারে একসঙ্গে মর্যাদা দিয়ে এসে জীবনটা তার ভরে উঠেছে শুধু মিথ্যাতে।”
১৯৫৭ সালে বুদ্ধদেব বসু তাঁর ‘মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়’ নিবন্ধে এ উপন্যাসটিকে মূল্যায়ন করেছেন এভাবে—“তাঁর (মানিক) প্রথম উপন্যাসের শিরোনামাতেই কবিতা আছে; ‘দিবারাত্রির কাব্য’ শুধু নামত কাব্য নয়, সারত তাকে একটি দীর্ঘ গদ্যকবিতা বললে অত্যুক্তি হয় না। এটি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবচেয়ে কম ‘পাকা লেখা’, সবচেয়ে কম স্পষ্ট, কিন্তু সেই জন্যই তাতে বার-বার দিগন্ত দেখা যায়, যেন আশ্চর্যের আভাস দেয় থেকে-থেকে।”
১৯৩৪ সালের মে মাসে (জ্যৈষ্ঠ ১৩৪১ বঙ্গাব্দ) থেকে ‘পূর্ব্বাশা’য় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে আমার পাঠকপ্রিয় উপন্যাস পদ্মানদীর মাঝি। তবে ১৯৩৫ সালের জুলাই (শ্রাবণ ১৩৪২ বঙ্গাব্দ) পর্যন্ত উপন্যাসটির ৯টি কিস্তি মুদ্রিত হয়। অনুসন্ধান করে দেখা যাবে যে, পত্রিকাটির তৃতীয় বর্ষ ১৩৪১ জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ়-শ্রাবণ ৩ কিস্তি; আশ্বিন-কার্তিক ২ কিস্তি; পৌষ-মাঘ-ফাল্গুন ৩ কিস্তি; এবং চতুর্থ বর্ষ ১৩৪২ প্রথম সংখ্যা শ্রাবণ ১ কিস্তি উপন্যাসটি প্রকাশিত হওয়ার পর ১৯৩৪ সালে কোনো এক অজ্ঞাত কারণে পত্রিকাটির প্রকাশ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এতে অসম্পূর্ণ থাকে উপন্যাসটির প্রকাশ।
১৯৩৪ সালের নভেম্বর মাসে (অগ্রহায়ণ ১৩৪১ বঙ্গাব্দ) ‘বিচিত্রা’ প্রকাশিত হয় ছোটগল্প ‘লড়াই’। সেই বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে (পৌষ ১৩৪১ বঙ্গাব্দ) ‘ভারতবর্ষ’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় আমার আরেক পাঠকপ্রিয় সৃষ্টি পুতুলনাচের ইতিকথা উপন্যাসটি। সঞ্জয় ভট্টাচার্যের অনুরোধে তখন আমি নিজের লেখালেখির ভাবনাসহ আত্মজৈবনিক উপন্যাসের খসড়া ‘উপন্যাসের ধারা’ লেখা শুরু করি। এ রচনাটিতেই ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ লেখার প্রস্তুতি ও সূচনার কথা উল্লেখ আছে : “লিখতে শুরু করেই আমার উপন্যাস লেখার দিকে ঝোঁক পড়লো। কয়েকটি গল্প লেখার পরেই গ্রাম্য এক ডাক্তারকে নিয়ে আরেকটি গল্প ফাঁদতে বসে কল্পনার ভিড় করে এল পুতুলনাচের ইতিকথা’র উপকরণ এবং কয়েকদিনে একটি গল্প লিখে ফেলার বদলে দীর্ঘদিন ধরে লিখলাম এই দীর্ঘ উপন্যাসটি—এ ব্যাপারের সঙ্গে সাধ করে বিজ্ঞানের ছাত্র হওয়ার সম্পর্ক অনেকদিন পর্যন্ত অনাবিষ্কৃত থেকে যায়। মোটামুটি একটা ধারণা নিয়েই সন্তুষ্ট ছিলাম যে, সাহিত্যিকেরও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকা প্রয়োজন, বিশেষ করে বর্তমান যুগে, কারণ তাতে অধ্যাত্মবাদ ও ভাববাদের অনেক চোরা মোহের স্বরূপ চিনে সেগুলি কাটিয়ে ওঠা সহজ হয়।”
এই উপন্যাসটি লেখার পেছনকার কিছু তথ্য জানান হায়াৎ মামুদ : “দিবারাত্রির কাব্য, প্রকাশকাল ১৯৩৫-এর ডিসেম্বর। অর্থাৎ ‘জননী’ উপন্যাস বেরোবার ন’মাস পরে প্রকাশিত হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটিই মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা প্রথম উপন্যাস।” ভাবনী মুখোপাধ্যায় আমার একটি ঘটনার কথা লিখেছেন : “একদিন তখনকার গ্লোব সিনেমার ওপরতলায় সস্তার টিকিটে তিনটের শোতে ছবি দেখছি, পিছন থেকে কে কাঁধে হাত রাখল, পিছন ফিরে দেখি মানিক। হাতে তার একখানি কালো এক্সারসাইজ বই। সিনেমা ভাঙতে মানিক আমাকে টেনে নিয়ে কার্জন পার্কের একপাশে বসে তার নতুন লেখা পড়ে শোনালো। তখন সেটি একটি গল্প ছিল, কিন্তু পরে বঙ্গশ্রীতে যখন প্রকাশিত হয় তখন সজনীকান্তের উপদেশনুসারে সে আরো কয়েকটি অনুচ্ছেদ রচনা করে। এবং পরে এই কাহিনীগুলি ‘দিবারাত্রির কাব্য’ নামে প্রকাশিত হয়।”
সজনীকান্ত দাস কেন এবং কী উপদেশ দিয়েছিলেন, তা না হয় তাঁর জবানিতেই শোনা যাক : “[...] মানিক ‘একটি দিন’ নামীয় একটি সম্পূর্ণ ছোটগল্পের আকারে উপন্যাসটি [অর্থাৎ দিবারাত্রির কাব্য] উপস্থিত করিলেন। পড়িয়াই বলিলাম, করিয়াছ কি? একটা উপন্যাসের সম্ভবনাকে এমনভাবে হত্যা করিবে? বিচলিত মানিক বিদায় লইলেন, আমি ‘একটি দিন’ সম্পূর্ণ গল্পাকারেই ছাপিয়া দিলাম (বৈশাখ ১৩৪১ বঙ্গাব্দ)। অনতিবিলম্বে মানিক ‘একটি দিনে’র উপসংহার ‘একটি সন্ধ্যা’ লইয়া উপস্থিত হইলেন। ‘একটি সন্ধ্যা’তেই শেষ হইল না, দুই সংখ্যা পরে সন্ধ্যা ‘রাত্রি’তে গড়াইল এবং আরো দুই সংখ্যা পর ‘রাত্রি’- ‘দিবারাত্রির কাব্য’ হইল। এই উপন্যাসের নাম পরিবর্তনে মানিকের মনের গঠনের ছাপ আছে। এই উপন্যাসটি ব্যক্তিগতভাবে আমার খুব প্রিয়, কারণ ইহার মধ্যস্থতায় আমি মানিককে জানিয়াছিলাম।”
উপন্যাসের শুরুটা হয়েছে একটু অন্যভাবে, “খালের ধারে প্রকাণ্ড বটগাছের গুঁড়িতে ঠেস দিয়া হারু ঘোষ দাঁড়াইয়া ছিল। আকাশের দেবতা সেইখানে তাহার দিকে চাহিয়া কটাক্ষ করিলেন।
হারুর মাথায় কাঁচা-পাকা আর মুখে বসন্তের দাগভরা রুক্ষ চামড়া ঝলসিয়া পুড়িয়া গেল। সে কিন্তু কিছুই টের পাইল না। শতাব্দীর পুরাতন তরুটির মূক অবচেতনার সঙ্গে একান্ন বছরের আত্মমমতায় গড়িয়া তোলা চিন্ময় জগৎটি তাহার চোখের পলকে লুপ্ত হইয়া গিয়াছে।
কটাক্ষ করিয়া আকাশের দেবতা দিগন্ত কাঁপাইয়া এক হুঙ্কার ছাড়িলেন। তারপর জোরে বৃষ্টি চাপিয়া আসিল।
বটগাছের ঘন পাতাতেও বেশিক্ষণ বৃষ্টি আটকাইল না। হারু দেখিতে দেখিতে ভিজিয়া উঠিল। স্থানটিতে ওজনের ঝাঁজালো সামুদ্রিক গন্ধ ক্রমে মিলাইয়া আসিল। অদূরের ঝোপটির ভিতর হইতে কেয়ার সুমিষ্ট গন্ধ ছড়াইয়া পড়িতে আরম্ভ করিল। সবুজ রঙের সরু লিকলিকে একটা সাপ একটি কেয়াকে পাকে পাকে জড়াইয়া ধরিয়া আচ্ছন্ন হইয়া ছিল। গায়ে বৃষ্টির জল লাগায় ধীরে ধীরে পাক খুলিয়া ঝোপের বাহিরে আসিল। ক্ষণকাল স্থিরভাবে কুটিল অপলক চোখে হারু দিকে চাহিয়া থাকিয়া তাহার দুই পায়ের মধ্য দিয়াই বটগাছের কোটরে অদৃশ্য হইয়া গেল।”
এ ছাড়া হারুর এ অপমৃত্যুকে আমি ব্যাখ্যা করেছি পশু-পাখির দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এবং সেই বোধটুকুও আলাদা রকম। যে সাপ স্বাভাবিক অবস্থায় মানুষকে ভয় পাওয়ার কথা, অথচ মানুষটি মৃত এই বুঝে সেটি নির্দ্বিধায় হারুর পায়ের ফাঁক দিয়ে চলে গেল। এমন নির্লিপ্ত করে একটা মৃত্যু ঘটনার বর্ণনার মাঝে কোথায় যেন একটু সূক্ষ্ম ব্যঙ্গ আছে। বিশেষত, আকাশের দেবতার কটাক্ষ করার ব্যাপারটায় এবং ঘটনার বর্ণনায়। আর প্রকৃতির বর্ণনার সাথে মিলে মিশে তা হয়ে উঠেছে অতুলনীয়, “বৃষ্টি থামিতে বেলা কাবার হইয়া আসিল। আকাশের একপ্রান্তে ভীরু লজ্জার মতো একটু রঙের আভাস দেখা দিল। বটগাছের শাখায় পাখিরা উড়িয়া আসিয়া বসিল এবং কিছুদূরে মাটির গায়ে গর্ত হইতে উইয়ের দলকে নবোদ্গত পাখা মেলিয়া আকাশে উড়িতে দেখিয়া হঠাৎ আবার সেই দিকে উড়িয়া গেল। হারুর স্থায়ী নিস্পন্দতায় সাহস পাইয়া গাছের কাঠবিড়ালীটি এক সময় নিচে নামিয়া আসিল। ওদিকে বুঁদি-গাছের জালে একটা গিরগিটি কিছুক্ষণের মধ্যেই অনেকগুলি পোকা আয়ত্ত করিয়া ফেলিল। মরা শালিকের বাচ্চাটিকে মুখে করিয়া সামনে আসিয়া ছপ-ছপ করিয়া পার হইয়া যাওয়ার সময় একটা শিয়াল বার বার মুখ ফিরাইয়া হারুকে দেখিয়া গেল। ওরা টের পায়। কেমন করিয়া টের পায় কে জানে!”
(চলবে)