একুশে বইমেলা
রকিবুল ইসলাম মুকুলের নতুন দুই উপন্যাস

এবারের একুশে বইমেলায় আসছে সাংবাদিক রকিবুল ইসলাম মুকুলের দুটি নতুন উপন্যাস। একটি প্রেমের উপন্যাস ‘প্রজাপতি মন’, অন্যটি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ‘ব্ল্যাক নাইট’। বই দুটি প্রকাশ করছে অনিন্দ্য প্রকাশ। দুটি উপন্যাসেরই প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ।
গদ্য ও কবিতা দুই মাধ্যমে বিচরণ হলেও রকিবুল ইসলাম মুকুল কথাসাহিত্যে মানবজীবনের বহুমাত্রিক রূপের সন্ধান করে থাকেন। রকিবুল ইসলাম মুকুল মূলত সহজ শব্দ ও ছোট ছোট বাক্যে ছন্দময় গতিতে তাঁর সাহিত্যকে গতিময় করেন। তাঁর উপন্যাসে বাস্তবতা এবং মানুষের স্বপ্নময় নিজস্ব ভুবনের দ্বৈরথকে একীভূত করে পাঠককে নিজস্ব একটি ভুবনে নিয়ে যান।
উপন্যাস দুটি সম্পর্কে প্রকাশক আফজাল হোসেন জানান, ‘রকিবুল ইসলাম মুকুল কয়েক বছর ধরে নিয়মিত লিখছেন। মানুষের জীবনের চলমান ঘটনাগুলো খুঁটিনাটি ব্যবচ্ছেদ করে তিনি তুলে আনেন সহজ বাক্যবন্ধনে। তরুণ কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে তিনি উল্লেখযোগ্য। আশা করি, বই দুটো পাঠকদের ভালো লাগবে। আমরা এটাও আশা করি যে পাঠকরা বই কিনবেন এবং এবারের অমর একুশে বইমেলা হবে পাঠক-লেখক ও প্রকাশকদের মিলনমেলা।’
উপন্যাস দুটোর কাহিনী সংক্ষেপ
প্রজাপতি মন
মনের যদি পাখির মতো ডানা থাকত? প্রজাপতির ডানা থেকে রং ধার করে উড়ে বেড়াত! তাই বলে কি বেঁধে রাখা যায়—আটকে রাখা যায় বুকের খাঁচায়? উড়ু উড়ু মন প্রজাপতির ডানায় ভর করে হাওয়ায় নেচে বেড়ায়। কখনো হোঁচট খায় ঝড়ো বাতাসে। আহত ডানায় নতুন স্বপ্ন বেঁধে মন উড়ে চলে দূর-দূরান্তে। এই নেচে বেড়ানোর আনন্দ নিয়েই বাঁচতে চায় নীলিমা। নীলাম্বরী নামেও ডাকে অনেকে। নীল শাড়ি আর নীল টিপ—মনভোলানো হাসি এই তো আছে নীলিমার। আছে একটা ছোট্ট ছাদ, ছাদ পেরিয়ে বিশাল আকাশ। রাশি রাশি তারা। প্রজাপতি মন নিয়ে উড়ে বেড়ায় নীলিমা। কখনো হোঁচট খেয়ে পড়ে যায়—আবারও স্বপ্নের মালা গেঁথে ঘুরে দাঁড়ায়। নিজের ভেতরকার টানাপড়েনগুলোকে ঘষে নেয় কষ্টিপাথরে। ভুল করে কি ভালোবাসা যায়? নাকি ভালোবেসে ভুল করে মানুষ। প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে বেলা বয়ে যায়।
ব্ল্যাক নাইট
ব্ল্যাক নাইট। রহস্যময় এক স্যাটেলাইট। ১৯৬০ সালে পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে অদৃশ্য হয়ে যায়। তার পর থেকে আর খোঁজ মেলেনি। রহস্য ভেদ করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। ছাপ্পান্ন বছর পর সে রহস্যের জালে অবশেষে আটকে গেলেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানীরা। ঢাকার আকাশে দেখা মিলেছে ব্ল্যাক নাইটের। বিজ্ঞানীদের নাকাল করে দেওয়া স্যাটেলাইটটি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে নাসারও। শেষ পর্যন্ত কি বিজ্ঞানীরা পারবেন এই রহস্য ভেদ করতে!!