নতুন বই
রাহীর ‘শুরু হোক হিমালয়’

পাহাড়ের প্রতি ঝোঁক থাকায় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আখলাকুর রহমান রাহী সস্ত্রীক বেড়িয়ে পড়েন এভারেস্ট বেস ক্যাম্প (১৭৫৯৮ ফিট) ট্রেকিংয়ে। এভারেস্ট বেস ক্যাম্প ট্রেকিংয়ের রোমাঞ্চ, অ্যাডভেঞ্চার, প্রতিকূল প্রকৃতি, সংস্কৃতি, পাহাড়ের মানুষ, খাবার এবং ভালোলাগা অনুভূতিগুলো নিয়ে লেখা ‘শুরু হোক হিমালয়’ লেখকের প্রথম বই।
আমাদের মধ্যে পরিচিত গণ্ডির বাইরে নতুনকে আবিষ্কার করার উদ্দীপনা সচরাচর খুব একটা দেখা যায় না। শহুরে মানুষগুলো কর্ম ব্যস্ততার ভিড়ে যা যৎসামান্য সুযোগ পেয়ে থাকে ঘুরে বেড়ানোর জন্য তার বেশির ভাগ সময়ই ব্যয় হয় বিলাসী হোটেলের আরাম কেদারায় কিংবা গিজগিজ করতে থাকা সমুদ্র তীরে। প্রকৃতির কাছাকাছি এসে তার মৌনতা উপভোগ করার মানসিকতা এখন প্রায় বিরল! যাও অল্প কিছু মানুষ আত্মার প্রশান্তির জন্য এক আধটু চেষ্টা করত তার আবার একটা বড় অংশই বিয়ের পর নিজেদের সম্পূর্ণ গুটিয়ে ফেলে।
সহধর্মীনির হাতে হাত রেখেও যে বন্ধুর পথে অদেখার পানে পা বাড়ানো যায় সেই মনন যে একেবারে শূন্যের কোঠায়। ‘শুরু হোক হিমালয়’ বই তাদের জন্য যারা মনে করে বিয়ের পর বুঝি ভ্রমণ শিকেয় উঠল! পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্ট বেস ক্যাম্পের মতো ট্রেক যেখানে পদে পদে অ্যাডভেঞ্চার, রোমান্স, মুগ্ধতা ও প্রকৃতির অপার ঐশ্বর্য লুকিয়ে আছে তা শুধু আপনাকে মুগ্ধই করবে না বরং সহধর্মিণীর উপস্থিতি আপনার ভালো লাগার মাত্রা বাড়িয়ে দিবে কয়েকগুণ।
পেশায় প্রকৌশলী আখলাকুর রহমান রাহী এভারেস্ট বেস ক্যাম্প ট্রেকে নেপালের সহজ সরল মানুষগুলোর জীবনধারা, সংস্কৃতি, মজার মজার স্থানীয় রীতি, খাবার, ভাষা, জীবন সংগ্রাম, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, শেরপাদের জীবনধারা, উচ্চতা সংক্রান্ত জটিলতা, নয়নাভিরাম ধবধবে সাদা পর্বত এবং তার মধ্যেই লুকিয়ে থাকা ভয়ঙ্কর বিপদ থেকে অনেক কিছুই বিস্তারিত তুলে ধরেছেন বইটিতে।
অমর একুশে গ্রন্থমেলার প্রথম দিন থেকেই ছায়াবীথি প্রকাশনীর ২২১ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে ‘শুরু হোক হিমালয়’ বইটি আর মূল্য রাখা হয়েছে ১৫০ টাকা।