বইমেলা
‘ক্রেডিট কার্ড দিয়ে বই কেনার সুযোগ চাই’

রাজধানীতে বাংলা একাডেমি আয়োজিত মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা চলছে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। মেলা সংক্রান্ত ভাবনা নিয়ে সম্প্রতি এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন লেখক ও শিক্ষক মিল্টন বিশ্বাস।
বইমেলাটা আমার ছাত্রজীবন থেকেই খুব ভালো লাগে। বইমেলা আমার প্রিয় জায়গা। বাংলা একাডেমিও আমার প্রিয় জায়গা। আমি সাহিত্যের ছাত্র। সাহিত্যের ছাত্র হিসেবে বইমেলায় যেতে পারাটা আমি মনে করি ভাগ্যের ব্যাপার। আমার কাছে প্রতিদিন বইমেলাতে যেতে না পারাটা দুর্ভাগ্যের ব্যাপার মনে হয়। প্রতিদিনই বইমেলাতে যাওয়ার ইচ্ছে জাগে। মেলায় বিচিত্র রকমের বই আসে সেটার ভালো-মন্দ মান থাকবে, এতে কোনো সমস্যা নেই। যত বই আসে আসুক এবং যত লেখক লিখতে চান, সহজে বই প্রকাশ করতে চান, প্রকাশ করুন। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে তরুণ যাঁরা লিখছেন তাঁদের বই মেলাতে প্রকাশ হচ্ছে এবং বিক্রিও হচ্ছে। এটা সবচেয়ে উৎসাহ ব্যঞ্জক দিক, যে তরুণরা লিখছেন, লেখক হতে চাইছেন এবং বই প্রকাশ করছেন। এই উৎসাহ ব্যঞ্জক দিকটা গত বছর দেখেছি একটা প্রকাশনা ১২০ টা বই বের করেছে সব তরুণদের। এ রকম ধরনের উদ্যোগ যদি থাকে তাহলে বইমেলা আমার মনে হয় ভবিষ্যতে তারুণ্যের মেলায় পরিণত হবে। বই বলতে যে বোদ্ধারা পড়বে, জ্ঞানীরা পড়বে এটা নয়। তরুণরাই বই পড়বে ভবিষ্যতে। এটাই আমার প্রত্যাশা।
প্রতি বছরই মেলা আয়োজনে যে সমস্যা হয়, সেটা হচ্ছে মেলার প্রবেশ পথ নিয়ে। তারপর মেলার ভেতরে ধুলো বিরক্তিকর। মেলায় জাতীয় চরিত্র এবং আন্তর্জাতিক চরিত্র দুটোই থাকা দরকার। কারণ আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন হচ্ছে এখানে। এটা শুধু বইমেলা না। এটার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন। সেখানে একটা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চরিত্র থাকা দরকার। সেজন্য আমরা যেটা ডিজিটাল যুগের কথা বলি বা আমরা এখন যে ডিজিটাল বাংলাদেশ, বই বিক্রির ব্যাপারেও ডিজিটাল পদ্ধতিগুলো চালু থাকা দরকার। যেমন আমরা মেলায় গিয়ে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে বই কিনব, এ রকম সুযোগ থাকবে মেলায়। মেলার ভিতরের পরিবেশ থাকবে সুন্দর, মেলার ভিতরে কফি কর্নার থাকবে, মেলার ভিতরে বসার জায়গা থাকবে, মেলায় শুধু বই থাকবে না, বইয়ের সঙ্গে সঙ্গে লেখকরা যেন বসতে পারেন, আড্ডা দিতে পারেন, মত বিনিময় করতে পারেন এই সুযোগগুলো থাকতে হবে মেলার মধ্যে। মেলার পরিবেশ এ রকম হওয়া উচিত।