গ্রন্থমেলায় ‘মা : আদিপর্বে’র পাঠোন্মোচন

এ প্রজন্মের কবি গিরীশ গৈরিকের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘মা : আদিপর্বে’র পাঠ উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল বুধবার। সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে বাংলা একাডেমির লিটলম্যাগ চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে পাঠ উন্মোচন করেন সমাজচিন্তক ও লেখক আবুল কাসেম ফজলুল হক।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি সানাউল হক খান, কবি বিমল গুহ, শিল্পী সমর মজুমদার, কবি আলমগীর রেজা চৌধুরী, গীতিকার শহীদুল্লাহ ফরায়েজী ও লোক-গবেষক সাইমন জাকারিয়া।
আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, “গিরীশ গৈরিকের ‘মা : আদিপর্বে’র কবিতা আমাকে বারবার মায়ের কথা মনে করে দিয়েছে। এ গ্রন্থের মা হয়ে উঠেছেন বাংলার সর্বজনীন মা।’
শিল্পী সমর মজুমদার বলেন, ‘আমি দীর্ঘ বছর ধরে মায়ের চিত্রকর্ম এঁকেছি। তা কেমন করে গিরীশের কবিতার সঙ্গে যেন মিলে গেল। আমি তার কাব্যগ্রন্থের ওপর কাজ করে অনেক আনন্দ পেয়েছি। কারণ গিরীশ মনে হয় আমার মায়ের কথা কবিতায় অঙ্কন করেছে।’
অনুষ্ঠানের আয়োজন সহযোগী হিসেবে ছিল শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির ওয়েবম্যাগ ‘চিন্তাসূত্র’ এবং সাহিত্য বিষয়ক পাক্ষিক ‘জয়তী’ পত্রিকা।
কবি গিরীশ গৈরিক মাকে নিয়ে চারপর্বের ষোলটি কাণ্ডে চার শতাধিক কবিতা লিখেছেন। প্রতিটি কাণ্ডে ২৫টি করে কবিতা আছে। ‘মা : আদিপর্ব’ কাব্যগ্রন্থটি চারটি পর্বের প্রথম পর্ব এবং এ পর্বের চারটি কাণ্ডে (বৃক্ষকাণ্ড, অশ্রুকাণ্ড, স্তনকাণ্ড ও নদীকাণ্ড) ১০০টি কবিতা আছে। ১১২ পৃষ্ঠার এ বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে কথাশিল্পী সেলিনা হোসেনকে।
গিরীশ গৈরিকের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ক্ষুধার্ত ধানের নামতা’ (২০১৬)। তিনি ১৫ আগস্ট ১৯৮৭ সালে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতকসহ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন সাংবাদিকতা। তিনি স্কুলজীবন পার করেই তাঁর নিজ গ্রামে গড়ে তোলেন ‘গীতাঞ্জলি সাহিত্য পরিষদ’।