নতুন বই
শেখ সাদীর ‘রাসেলের মা’

সালটা ১৯৩০। উত্তাল ভারতবর্ষ। মহাত্মা গান্ধীর 'জেলে ভরো' আন্দোলন তুঙ্গে। এ বছরের আগস্ট মাসে পৃথিবীর আলো দেখল এক কন্যাসন্তান। সন্তানের নাম রাখা হলো ফজিলাতুন্নেসা, ডাকনাম রেণু।
ফুটফুটে রেণু তিন বছরে বাবা হারালেন। পাঁচ বছরে মা। আপন বলতে বড় বোন আর দাদা।
সেই রেণু না থাকলে শেখ মুজিব আর যা-ই হন না কেন, বঙ্গবন্ধু হতে পারতেন না। জীবদ্দশায় শেখ মুজিব বলেছেন এ কথা।
একটা সময় রেণুর আশ্রয় ছিলেন তাঁর দাদা। তার পর প্রশ্রয় পেয়েছেন শেখ মুজিবের মায়ের কাছে।
এর পর কারো ছায়াতলে নয়, নিজেই ছায়া ছড়ালেন। আগলে রাখলেন শেখ মুজিবকে। আগলে রাখলেন হাসুর মা হয়ে হাসুদের পরিবারটাকে। রাজনীতি করেননি। রাজনীতির বাইরে থাকতেও পারেননি।
সেই রেণু, সেই হাসুর মা, সেই বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণীর কথাই গল্পের মতো করে বলেছেন শেখ সাদী, তাঁর 'রাসেলের মা' বইতে। এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বইটি এনেছে সমগ্র প্রকাশন।
মেলায় ঘুরতে এসে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের চোখে পড়ল বইটি। হাতে নিয়ে পড়লেন কিছুক্ষণ। বললেন, 'উদ্যোগটা মহৎ। শেখ সাদীকে ধন্যবাদ। কারণ, বঙ্গবন্ধুর জীবনে যার এত অসাধারণ অবদান, তা সবার সামনে আসা দরকার।'
অর্থমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের পলিটিক্যাল উইসডম প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ইস্যুতে বেগম মুজিব বলেছিলেন, 'জানিয়েছি, যদি প্যারোলে মুক্তি নিয়ে আইয়ুব খানের গোলটেবিলে যান, তাহলে এই বাড়িতে আর আসবেন না।' এতেই বোঝা যায়, রাজনৈতিকভাবে কতটা সচেতন ছিলেন বেগম মুজিব।
এ সবকিছুই 'রাসেলের মা' বইটিতে আছে। আছে তাঁর নিভৃত জীবন। গল্পের মতো করে শুনিয়েছেন শেখ সাদী। আর শুনিয়েছেন একটা সময়ের গল্প। যে সময়টায় একটা দেশ জন্ম নিয়েছে। জন্ম নিয়েছে ছোট্ট রাসেল। সেই রাসেলের চোখের সামনেই হত্যা করা হলো বাবা-মা, ভাই-ভাবীকে। বাঁচেনি রাসেলও।
স্টেনগানের গুলিতে আগুন ধরে গিয়েছিল রাসেলের সাদা রঙের শার্টে।
সেই রাসেল ও তাঁর মা নিয়েই বই ‘রাসেলের মা’। তবে বই হাতে নিয়ে পাঠক শুধু তাঁদেরই পাবেন না, পাবেন শেখ মুজিবুর রহমানসহ ইতিহাসের আরো অনেককে!
কমিশনে বইটি মিলবে ২০০ টাকায়।