নতুন বই
আশরাফউল্লাহর উপন্যাস ‘কালের নীরবযাত্রা’

অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়েছে সহকারী পুলিশ কমিশনার আশরাফউল্লাহর প্রথম উপন্যাস ‘কালের নীরব যাত্রা’। মুক্তদেশ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ। বইমেলার ১৮০-১৮১ নম্বর স্টলে বইটি পাওয়া যাবে।
উপন্যাসিক আশরাফউল্লাহ্ এই সময়ের যাত্রাকে বেশ নৈর্ব্যক্তিক কায়দায় দেখার চেষ্টা করেছেন। উপন্যাসের মূল আখ্যানটা মোটামুটি সরল কিন্তু ততটা সহজ নয়। কয়েকটি মৌলিক চরিত্র রূপায়ন করতে গিয়ে লেখক নিজস্ব অন্তরিত অহং কিংবা আবেগকে কাজে লাগিয়েছেন কি না তা নির্ধারণ করা মুশকিল। কেন না উপন্যাস পড়তে গিয়ে আমরা দেখছি লাল মিয়া কিংবা কাঞ্চনের ব্যক্তিত্বে লেখক প্রবেশ করতে গিয়ে কোথাও তাদের ফ্ল্যাট কিংবা রাউন্ড করেছেন।
তিনি আরো বলেন, এটা অধিক আত্মসংযুক্তির এলগরিদম বটে। উপন্যাসিকের লেখায় কিছুটা ইলিয়টিক উদ্বেগ লক্ষ করা যায়, যদিও সময়ের কন্টিনিউয়াসকে তিনি ইলিয়টের চেয়ে সহজতর ভাষায় তুলে ধরেছেন। এই উত্তরাধুনিক সময়ে বেড়ে উঠেও কীভাবে লেখক আশরাফউল্লাহ্ ভাষায় এত সহজতা নিয়ে এলেন, তা আমার বোধের বাইরে! তবে সময়ের যাত্রায় মানুষের জীবন ও যাপনের সংস্থাপন খুব মুনশিয়ানার সঙ্গেই তিনি দেখিয়েছেন।
বইয়ের গল্প নিয়ে তিনি বলেন, তালুকদার লাল মিয়া ত্রিকাল দর্শন করতে গিয়ে ঔপন্যাসিকের সামনে দার্শনিক সমস্যা নিয়ে হাজির হয়েছেন। স্কুলমাস্টার কাঞ্চনের জীবনে যে প্যারাডাইস স্থানান্তরগুলো আমরা দেখেছি তা সমাজনীতি কিংবা রাজনীতে থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। উপন্যাসের শেষ অধ্যায়ে শফিকের চাকরি পাওয়াতে কাঞ্চন মাস্টারের চোখেমুখে আমরা যে আনন্দের আভা দেখেছি, তা তার ভেতরকার ক্লান্তি ও কষ্টের বহিঃপ্রকাশ। কাল গত হলেও কর্ম প্রভাব রাখে পরিজগতে নয় মনোজগতে। অর্থহীনতা সামাজিক দৈন্যে রূপ নিয়ে একধরনের দার্শনিক সমস্যার জন্ম দেয়, যা আমরা এ উপন্যাস ‘কালের নীরব যাত্রায়’ বিভিন্ন চরিত্রের মধ্য দিয়ে দেখতে পাই।